ঘুমের সময় পৃথক বিছানাই যুগলদের জন্য স্বাস্থ্যকর, বলছে সমীক্ষা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৫, ২০২৩, ০৫:৫২ পিএম

ঘুমের সময় পৃথক বিছানাই যুগলদের জন্য স্বাস্থ্যকর, বলছে সমীক্ষা

এক গবেষণা বলছে, পর্যাপ্ত ঘুম এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য যুগলদের শয়ণশয্যা আলাদা হওয়াই ভাল। অন্তত সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো তেমনটাই বলছে। আমেরিকার ২০০০ যুগলকে নিয়ে হওয়া এক সমীক্ষার শেষে দেখা গেল যে, তাঁদের মধ্যে ৪৯ শতাংশই এই বিষয়ে সহমত জানাচ্ছেন।

জরিপে অংশ নেওয়া ২৮ শতাংশ মানুষ অভিযোগ করেছেন, তাঁদের সঙ্গীরা ঘুমিয়ে পড়লে জোরে জোরে নাক ডাকেন। ৩৫ শতাংশ মানুষ তাঁদের সঙ্গীর গা থেকে চাদর টেনে সরিয়ে দেন। আবার ২৭ শতাংশই ঘরের আলো জ্বেলে রাখেন কিংবা অন্ধকারে ফোন বা টিভি দেখার মতো কাজ করতে থাকেন। এজন্যই তাঁদের শয্যা আলাদা করার কথা ভাবতে হয়েছে। যাতে কারও ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটে।

পাশাপাশি আরও একটি সমীক্ষা বলছে, আরও বেশ কিছু কারণে যুগলরা আলাদা বিছানার ব্যবস্থা করেন। যেমন আলাদা ঘর থাকা সত্ত্বেও কোনও কোনও দম্পতির সন্তান তাঁদের বিছানায় মাঝে শুতে চলে আসে। এমন অনেক যুগল আছেন, যাঁরা শোয়ার আগে চিন্তা করেন, তাঁদের সঙ্গী গোসল করে এসেছেন কি না। আবার অনেকে অন্য কারও সাথে নিজের ঘর ভাগ করে নিতেও চান না। গরম পড়লেও নিজের গায়ের চাদর বা কম্বল ছাড়া ঘুম আসে না এমন মানুষও আছেন। আবার বিছানার নির্দিষ্ট এক পাশে ছাড়া ঘুমোতে পারেন না এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে শয্যা আলাদা করার কথা ভাবলেও তাঁরা যে একত্র যাপন করতে পছন্দ করেন না, এমন ধারণাও অবশ্য ঠিক নয়। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সেই দেশের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে দু’জন যুগল কিন্তু ঘুমানোর আগে তাঁরা সঙ্গীর সাথে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন, কেউ আবার একসাথে সিনেমাও দেখেন, তারপর তারা আলাদা আলাদা বিছানায় ঘুমোতে যান।

সূত্র: দ্য হেলদি ডটকম

Link copied!