শেষকৃত্যের ১৮ দিন পর ফিরলেন করোনায় ‘মৃত’ বৃদ্ধা!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ৪, ২০২১, ১২:৫৩ পিএম

শেষকৃত্যের ১৮ দিন পর ফিরলেন করোনায় ‘মৃত’ বৃদ্ধা!

ভারতে  শেষকৃত্যের ১৮ দিন পর বাড়ি ফিরে এসেছেন করোনায় ‘মৃত’ এক বৃদ্ধা (৭০)। এ ঘটনায় পরিবারসহ হতভম্ব হয়েছেন এলাকাবাসী।বুধবার (২ জুন) দেশটির অন্ধ্র প্রদেশের কৃষ্ণা জেলায় এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, গত ১৮ এপ্রিল কৃষ্ণা জেলার জাগ্গাইয়াপেত এলাকার ক্রিস্টিয়ানপেত গ্রামের মুথায়ালা গাড্ডায়া মোড়ানো অবস্থায় তার ‌‘মৃত’ স্ত্রী মুথায়ালা গিরজাম্মার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধা গিরজাম্মার মৃত্যু হয়েছে বলে সেসময় জানানো হয় তাকে। কারণ হাসপাতাল থেকে মোড়ানো অবস্থায় একটি মরদেহ গাড্ডায়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শেষকৃত্যের ১৫ দিন পর গত ১ জুন পরিবারের লোকজন শোকসভার আয়োজন করেন। কিন্তু এর একদিন পর সবাইকে অবাক করে বাড়ি ফিরে আসেন বৃদ্ধা মুথায়ালা গিরজাম্মা। এতে হতভম্ব হয়ে পড়েন সবাই।

জানা গেছে, গত ১২ মে বিজয়ওয়াদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় করোনা আক্রান্ত ওই বৃদ্ধাকে। স্ত্রীকে দেখতে প্রতিদিনই হাসপাতলে যেতেন স্বামী গাড্ডায়া। কিন্তু গত ১৫ মে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে স্ত্রীকে দেখতে পান না তিনি। অন্যান্য ওয়ার্ডেও স্ত্রীকে খুঁজে পান না তিনি।

পরে হাসপাতালের নার্সরা জানান, তার স্ত্রী মারা গেছেন। এরপর হাসপতালের মর্গ থেকে তাকে মোড়ানো অবস্থায় একটি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। তিনি মনকষ্টে মরদেহটি গ্রহণ করেন এবং ওই দিনই গ্রামে নিয়ে এসে শেষকৃত্যু সম্পন্ন করেন।

এরপর গত ২৩ মে বৃদ্ধ গিরজাম্মা খবর পান খাম্মাম জেলা হাসপাতালে তার ৩৫ বছর বয়সী ছেলেও করোনায় মারা গেছেন। দুই সদস্যের মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

গত ১ জুন পরিবারের দুই সদস্যের স্মরণে সভার আয়োজন করে তারা। এর একদিন পরই ফিরে আসেন গিরজাম্মা।

ফেরার পর গিরজাম্মা জানান, সুস্থ হওয়ার পর কেউ তাকে হাসপাতালে নিতে যাননি। এ কারণে তিনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাড়ি ফেরার জন্য তাকে তিন হাজার টাকা দেন।

পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী জানান, করোনার ভয়ে শেষকৃত্যের আগে কেউ মোড়ানো মরদেহটি খুলে দেখননি।

জাগ্গাইয়াপেত পুলিশের উপ-পরিদর্শক কে ভি রামা রাও বলেন, এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো ভুল ছিল কি-না সে বিষয়ে কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

 সূত্র: এনডিটিভি।

Link copied!