প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে-বসবে-গ্রেপ্তার করবে: শাহজাহান চৌধুরী

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলন’-এ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা ও অস্ত্র ঢুকবে বলে আশঙ্কা’, পাশাপাশি তিনি প্রশাসনকে নিজেদের প্রভাবাধীন রাখার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।

শনিবার সন্ধ্যায় নগরের জিইসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয় যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে।’
বক্তব্যের সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না।

শাহজাহান চৌধুরী আরো বলেন, ‘যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারকে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক, নুরুল আমিন (নগরের সেক্রেটারি) ভাইয়ের ফটিকছড়িতে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে। ওসি সাহেব আপনার কী প্রোগ্রাম, তা সকালবেলায় জেনে নেবেন আর আপনাকে প্রটোকল দেবেন।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়তে চাই, আমরা অতীতেও চাঁদাবাজি করিনি, ভবিষ্যতেও করব না। আমরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই। আমাদের অনেক রাজনৈতিক দল এ কথা জোরালোভাবে বলতেও পারে না। কারণ, বলতে গেলে তাদেরও হাসি আসবে, জনগণও হাসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে জুলুম সহ্য করেছি আল্লাহর জন্য। পটপরিবর্তনের পর আমরা কারও ওপর জুলুম হতে দিইনি। দেশবাসীকে বলেছি ধৈর্য ধরতে। তাঁরা ধৈর্যের সর্বোচ্চ উদাহরণ তৈরি করেছেন। প্রশাসন ভয় পেত, আমরা তাদের সাহায্য করেছি, উৎসাহ দিয়েছি।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আহসানুল্লাহ, অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ জাফর সাদেক, মোস্তাফিজুর রহমান, আমিরুজ্জামান, নুরুল আমিন চৌধুরীসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর জেলার নেতারা।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য তিন জেলার ২৩টি আসনের মনোনীত প্রার্থীরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

• বিষয় :
• নির্বাচন
• জামায়াতে ইসলামী
• প্রশাসন