অক্টোবর ৩, ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার বিকৃত ছবি শেয়ার করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর সকালে উপজেলার পালিশারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে আহতদের হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব কাজী জসিম দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে ৯ নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও পালিশারা শাহমিরান মিরা বাড়ী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা ইলিয়াস হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি নেত্রী রুমি ফারহানার বিকৃত ছবি শেয়ার করেন। আজ শুক্রবার সকালে বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে নেতা-কর্মীদের ওপর জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় আহত ইউনিয়ন যুবদল নেতা নেছার আহম্মেদ দাবি করেন, তাদের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। অতর্কিত হামলায় আহত হয়ে তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে উপজেলা জামায়াত নেতা মাওলানা মোজাম্মেল হোসেন পরাণ পোস্টের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই পোস্ট ডিলিট করা হয়েছে। এমনকি মাওলানা ইলিয়াস হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দুঃখ প্রকাশ করে আরও একটি পোস্ট করেন। তারপরও মসজিদ কমিটি তাকে নিয়ে সকালে একটি বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নেয়। ওইসময় বিএনপি নেতা নেছার আহম্মেদের নেতৃত্বে ইলিয়াসের ওপর হামলা হয়। ওইসময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে গেলে জামায়াতের ১০/১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়।
জানতে চাইলে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও পালিশারা শাহমিরান মিরা বাড়ী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা ইলিয়াস হোসেন সংবাদকর্মীদের বলেন, ছবি অসাবধানবশত শেয়ার হয়েছে। বিষয়টি কয়েকজন জানানোর পর ডিলিট করে দিয়েছি। ঘটনা যা হয়েছে, ফেসবুকে পোস্ট করে পরে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তারপরেও শুক্রবার সকালে বৈঠক বসার পূর্বেই নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।’
এ ঘটনায় গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, জামায়াত-বিএনপির মারামারির ঘটনা জেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।