বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ২৫ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিত ও তার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদনটি পড়েছি। কিন্তু আমি বিষয়টি নিয়ে এখনও আমার মতামত দিইনি। ২৫ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে তার পরিবার। একই সঙ্গে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদনও করা হয়েছে।
গত ৬ মার্চ পরিবারের পক্ষে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কান্দার বলেন, বেগম (খালেদা) জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।’
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন তিনি।
জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর ৬ মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।