এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১১:৩১ এএম
‘বাল্যবিবাহের বহুমাত্রিক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। একটি শিশু হয়েও গর্ভে ধারণ করতে হয় আরেকটি শিশুকে। শিকার হতে হয় পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের। বাল্যবিবাহে বাড়ছে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু। আবার শিশু জন্মগ্রহণ করেই পুষ্টিহীনতাসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে৷ বাল্যবিবাহের মাধ্যমে কন্যাশিশুর স্বপ্নগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। এটি অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওতে বাংলাদেশ প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি আরও বলেন, দেশকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাল্যবিবাহে বাংলাদেশের অবস্থান এশিয়ার শীর্ষে। বিষয়টি হতাশাজনক। বাল্যবিবাহ নিরসনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাথে সমন্বয় করে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উদ্যোগ সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে’।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘আমাদের সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতন, স্বাস্থ্য খাতে অনাচার, কিশোর অপরাধ, মাদকাশক্তিসহ অনেক সামাজিক সমস্যা বিদ্যমান। এগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে। সুন্দর ও মানবিক সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে মানবাধিকার ধারণাটির অবাধ বিস্তার ঘটাতে হবে।
চেয়ারম্যান সমাজ পরিবর্তনে ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণে সরকার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানান। আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরীসহ অন্যান্য সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।