অনন্য কথাশিল্পী শওকত ওসমান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১৪, ২০২১, ১১:৩৫ এএম

অনন্য কথাশিল্পী শওকত ওসমান

কথাশিল্পী শওকত ওসমানের আজ ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান হলেও সাহিত্যিক নাম শওকত ওসমানের আড়ালে আসল নামটি ঢাকা পড়ে গেছে। সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদবিরোধী প্রখ্যাত এ কলমশিল্পী লেখনীর মাধ্যমে শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের কথা বলে  গেছেন। তার রচিত ‘ক্রীতদাসের হাসি’ স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে অন্যতম এক রচনা।

শওকত ওসমান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪১ সালে বাংলা সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) চলে আসেন তিনি। ঢাকা কলেজে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে তার পেশাজীবন শুরু। এ ছাড়া চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারেও চাকরি করেছেন তিনি।

শওকত ওসমান প্রধানত গল্প ও উপন্যাস রচনা করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ‘জননী’, ‘ক্রীতদাসের হাসি’, ‘সমাগম’, ‘চৌরসন্ধি’, ‘রাজা উপাখ্যান’, ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।

গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘জুনু আপা ও অন্যান্য গল্প’, ‘মনিব ও তাহার কুকুর’, ‘ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী’ প্রভৃতি। স্মৃতিকথার মধ্যে রয়েছে ‘স্বজন সংগ্রাম’, ‘কালরাত্রি খ চিত্র’, ‘অনেক কথন’, ‘গুডবাই জাস্টিস মাসুদ’, ‘মুজিবনগর’ ইত্যাদি।

শওকত ওসমান মুক্তিযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন। তার বেশ কিছু মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসও রয়েছে। যেমন, জাহান্নাম হইতে বিদায়, দুই সৈনিক, জলাংগী, নেকড়ে অরণ্য।তার রচিত একমাত্র প্রবন্ধ হল সংস্কৃতির চড়াই উৎরাই।

সাহিত্যকর্মে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একুশে পদক, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট প্রাইড অব পারফরমেন্স পদক, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, টেনাশিস পুরস্কার ও মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পদক পেয়েছেন।

 

Link copied!