‘এক্স’ দিচ্ছে আয়ের সুযোগ

আল আমিন তুষার

আগস্ট ১৫, ২০২৩, ০৫:৩৪ পিএম

‘এক্স’ দিচ্ছে আয়ের সুযোগ

সংগৃহীত ছবি

সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো নিজেদের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা করছে তার অন্যতম কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং কিংবা অনলাইন মার্কেটিংয়ের দ্রুত বিস্তার। এসব সাইটে বা অ্যাপে গ্রাহকরা তাদের দীর্ঘ সময় পার করেন। তাই অনেক প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে এই প্ল্যাটফর্মগুলোকেই নিজের ব্যবসার প্রচারণা ও পণ্য বা সেবা বিক্রির কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে।

একে কাজে লাগিয়েই ফেসবুক বা ইউটিউব থেকে এখন অনেকে প্রচুর আয় করছেন। সেই পথে হেঁটেছে ‘এক্স’ও (টুইটার)। 

অন্যান্য সেলফ জেনারেটেড সাইটের মতই টুইট, ভিডিও বা স্পেসের মাধ্যমে এবং কনটেন্ট তৈরি করে তা মনিটাইজ করে বেশ আয় করার সুযোগ রয়েছে এক্সে। 

লিংক শেয়ার করে আয় করা সম্ভব
কোনো ওয়েবসাইটের কোনো কনটেন্টের লিংক শর্ট করে এক্স বা টুইটারে শেয়ার করলে যদি কেউ সেই শর্ট লিংক ব্যবহার করে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে, তাহলে সেই লিংক শর্ট করা ওয়েবসাইট থেকে টাকা পাওয়া যায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও সিপিএ করেও বেশ ভালো আয় করতে পারবেন
এক্সে ফলোয়ার অনেক বেশি হলে অ্যামাজন অথবা বিভিন্ন সিপিএ ওয়েবসাইটের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও সিপিএর প্রোডাক্ট প্রমোশন করে আয় করার সুযোগ আছে।

টুইট-রিটুইট করে আয়
ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের সাথে কন্ট্রাক্ট থাকলে, টুইট-রিটুইট করেও আয় করা যায়। যদিও সে জন্যে আপনার অনেক বেশি ফলোয়ার থাকতে হবে, এক্সে আপনার যে ধরনের ফলোয়ার, সেই ধরনের ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে তাদের টুইটগুলো রিটুইট করে রয়েছে আয়ের সুযোগ।

গ্রাফিকসের কাজ করে আয়
এক্সে গ্রাফিকসের কাজ করে ভালো আয় করার সুযোগ আছে। একজন প্রফেশনাল মানের গ্রাফিকস ডিজাইনার হলে আপনার জন্য অনেক ভালো সুযোগ অপেক্ষা করছে এক্সে। এখানে অনেকেই তাদের এক্স প্রোফাইলের ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ তৈরি অথবা এডিট করে নেয়। এটিও আয় করার ভাল সুযোগ।

সুপার ফলো অপশনের মাধ্যমে আয়
যদিও বাংলাদেশিদের জন্য এক্স সুপার ফলো থেকে আয় করার সুযোগ নেই। এর জন্য এক্স প্রোফাইলে কমপক্ষে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হয় এবং বাসিন্দা হতে হবে আমেরিকার। এই দুটি শর্ত পূরণ করার পরে তৃতীয় শর্ত হলো এক্স প্রোফাইলে ৩০ দিনে কমপক্ষে ২৫টি টুইট পাবলিশ করতে হবে।

এক্সে আইডিতে সুপার ফলো অপশন চালু থাকলে ফলো করার জন্য প্রত্যেক ফলোয়ারকে টাকা গুণতে হয়।

Link copied!