১৩ বিলিয়ন বছর আগের অতিকায় কৃষ্ণ গহ্বর আবিষ্কার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৮, ২০২৩, ০৫:৫৩ পিএম

১৩ বিলিয়ন বছর আগের অতিকায় কৃষ্ণ গহ্বর আবিষ্কার

সংগৃহীত ছবি

নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে মহাবিশ্বের সবচেয়ে দূরবর্তী ও গভীরে অবস্থিত একটি সক্রিয় ‘সুপার ম্যাসিভ’  ব্ল্যাক হোল তথা কৃষ্ণ গহ্বর ধরা পড়েছে। এই বিষ্ময়কর আবিষ্কারের ছবিও প্রকাশ করেছেন মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। 

সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল একটি স্বতন্ত্র ধরনের ব্ল্যাক হোল, যা গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অংশে অবস্থান করে। এই সুপার ম্যাসিভ বা অতিকায় ব্ল্যাক হোলগুলো অবিশ্বাস্য ভরযুক্ত হয়, যা সূর্যের ভরের লক্ষ লক্ষ গুণ বেশি।

নতুন আবিষ্কার হওয়া ব্ল্যাক হোলটির বয়স ১৩ বিলিয়ন তথা ১ হাজার ৩০০ কোটি বছরেরও বেশি এবং এটাকে সূর্যের ভরের ৯ কোটি গুণ বলে অনুমান করা হচ্ছে। 

গত সপ্তাহে (৬ জুলাই) ওই ব্ল্যাক হোলের কথা প্রথম জানায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। 

নাসা জানায়, ব্ল্যাক হোলটির অবস্থান সিইইআরএস ১০১৯ নামে এক গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের ভেতরে। গ্যালাক্সিটি অতি প্রাচীন একটি গ্যালাক্সি যা সম্ভবত বিগ ব্যাং তথা মহা বিস্ফোরণের অন্তত ৫৭ কোটি বছর পর সৃষ্ট।

সিইইআরএস ১০১৯-এর মধ্যে আবিষ্কৃত ব্ল্যাক হোলটির সাথে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাক হোলের কিছু মিল রয়েছে। যার ভর প্রায় ৪৬ লাখ সৌর ভর।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের বিজ্ঞানী রেবেকা লারসন এই আবিষ্কারের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই ব্ল্যাক হোলকে তিনি মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কাছাকাছি ব্ল্যাক হোলের সাথে তুলনা করে উৎসাহ প্রকাশ করেন।

নাসা, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) ও কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির (সিএসএ) যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এক বিশেষ টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। এটি মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানা ও বোঝার ক্ষেত্রে এক বিপ্লবী প্রচেষ্টা।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে এটাকে মহাকাশে পাঠানো হয়। পৃথিবী থেকে ১৬ লাখ মাইল দূরে দ্বিতীয় ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট (এল-২) নামে একটি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়।

এর ধারণ করা প্রথম পূর্ণ রঙিন ছবি ২০২২ সালের ১১ জুলাই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উন্মোচন করেন। এর এক বছর পর চলতি সপ্তাহেও জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ থেকে নতুন ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

Link copied!