৫৮০ বছর পর আজ এমন দীর্ঘ মেয়াদে খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের দেখা পেল বিশ্ববাসী যা আগামী শত বছরেও হওয়ার সম্ভাবনা কম। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার মূল চন্দ্রগ্রহণ উত্তর আমেরিকার দেশগুলো থেকে সবচেয়ে ভালো দেখা যায়। তবে অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব এশিয়া, উত্তর ইউরোপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও তা দৃশ্যমান হয়।
বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ১৯ মিনিটে শুরু হয় আংশিক গ্রহণ, শেষ হয় ৪টা ৪৭ মিনিটে। তবে পিনামব্রাল পর্যায়ের গ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিট পর্যন্ত।
চাঁদ ও সূর্যের মাঝামাঝি একই সরলরেখায় পৃথিবী এলে চন্দ্রগ্রহণ হয়। তখন পৃথিবীর আড়ালে থাকায় সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে না চাঁদে। আজ যেহেতু পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদের ৯৭ শতাংশ ঢাকা পড়ে, তাই এটিকে আংশিক বা খণ্ড গ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলা হচ্ছে। পুরোটা ঢাকা পড়লে বলা হতো পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ।
এই চাঁদ পূর্ণিমার চাঁদের আকারের চেয়ে কিছুটা ছোট হবে বলে জানানো হয়েছিল নাসার পক্ষ থেকে। পৃথিবীর ছায়ায় সেই চাঁদের ৯৭.৪ শতাংশই ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। তবে নাসা বলছে শতকরা প্রায় ৯৯.১ ভাগ ঢাকা পড়েছিল। ফলে, আক্ষরিক অর্থে খণ্ডগ্রাস হলেও শুক্রবারের চন্দ্রগ্রহণ অনেকটা যেন পূর্ণগ্রাসই।