ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন কন্ঠশিল্পী মমতাজ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৩, ২০২১, ১২:১৩ পিএম

ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন কন্ঠশিল্পী মমতাজ

বাংলাদেশের লোকগানের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মমতাজ। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে গানের সাথে জড়িয়ে আছেন তিনি। গানের মাধ্যমে পেয়েছে মানুষের ভালোবাসা। কন্ঠশিল্পীর পাশাপাশি এমপি হিসেবেও পরিচয় রয়েছে তার। সম্প্রতি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন তিনি। শনিবার (১০ এপ্রিল) ভারতের তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি এ সম্মাননা দিয়েছে তাকে।

গত ১০ এপ্রিল (শনিবার) বিমানবন্দরে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন মমতাজ। লিখেছিলেন, ‘খারাপ নিউজ দেখতে দেখতে চোখ, মন এখন ক্লান্ত। দুঃখ সইতে সইতে নাকি সুখ আসে, তেমনি খারাপ খবর দেখতে দেখতে একটা ভালো খবর পেয়ে আর ঘরে থাকতে পারলাম না। সাহস করে বের হয়েছি।’ তবে তখন কোথায় যাচ্ছেন তিনি জানাননি। অবশেষে গতকাল ১২ এপ্রিল (সোমাবার) জানা গেছে চেন্নাইতে গিয়েছিলেন তিনি, পেয়েছেন ডক্টরেট ডিগ্রি। এমন একটি প্রাপ্তিতে ভীষণ খুশি কন্ঠাশিল্পী ও এমপি মমতাজ।

লোকগানের শিল্পী ও সাংসদ মমতাজকে এ সম্মাননা দিয়েছে চেন্নাইয়ের তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি। শিল্পী হিসেবে ৭০০টির বেশি একক অ্যালবামের রেকর্ড, সুদীর্ঘ ৩০ বছর বাংলা গানকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা ও সমাজসেবা ছাড়াও নানামুখী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রেখে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মমতাজ। সেই কারণে তারা বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শনিবার তাকে ‘ডক্টর অব মিউজিক’ পদক প্রদান করে। মমতাজের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান পি ম্যানুয়েল। একই সময়ে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন চেন্নাইয়ের সাবেক জেলা জজ থিরু এজে মুরুগানানথাম, তামিলনাড়ুর আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু খলিফা মাস্তান সাহেব ক্বাদিরি, কেরালা ডক্টর এ পি জে আবদুল কালাম ইনস্টিটিউট অব বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পরিচালক উইলাত কোরাইয়া।

এই সম্মাননা প্রাপ্তির বিষয়ে মমতাজ জানান, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। ৩০ বছর ধরে আমি মা-মাটির গান করে চলেছি; মানুষের সেবা করেছি। এই প্রাপ্তি কাজ করতে আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।’

প্রসঙ্গত, তিন দশকের বেশি সময় ধরে পেশাদার শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন মমতাজ। সংগীতজীবনে সাত শতাধিক একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার। ২০০০ সালে হানিফ সংকেতের আমন্ত্রণে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে গান করেন তিনি। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায় ও সোহেল আজিজের সুরে ‘রিটার্ন টিকিট’ গানটি গেয়েছিলেন সে সময়। এরপরই রাতারাতি সারা দেশের শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে যান তিনি।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন মমতাজ। ২০১৮ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন এই শিল্পী। একই সাথে গান ও রাজনীতির বাইরেও নানা ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন মমতাজ। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন মমতাজ চক্ষু হাসপাতাল। ২০০৮ সালে সিঙ্গাইরে তাঁর গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘মমতাজ শিশু ও চক্ষু হাসপাতাল’। বাংলাদেশ বধির ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি তিনি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন ২০১০ সাল থেকে। মমতাজ বেগম আন্তর্জাতিক চক্ষু চিকিৎসা সংস্থা অরবিসের দৃষ্টিদূত ও অস্ট্রেলিয়ার একটি শিক্ষাবিষয়ক সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

Link copied!