শুভ জন্মদিন পপগুরু

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২, ০৭:০০ পিএম

শুভ জন্মদিন পপগুরু

আজ বাংলা পপ গানের পুরোধা আজম খানের জন্মদিন। যাকে ভালোবেসে সর্বস্তরের শ্রোতারা ডাকেন ‘পপগুরু’ সম্বোধনে।

১৯৫০ সালের এই দিনে ঢাকার আজিমপুর কলোনির ১০নং সরকারি কোয়ার্টারে জন্ম নেন আজম খান। সংগীতশিল্পী পরিচয়ের আগে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা।

আর গানে তার কর্মজীবন শুরু হয় গত শতকের ষাটের দশকের শেষের দিকে। ১৯৭২ সালে বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। যা দেশব্যাপী সংগীতের জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

পশ্চিমা রক সংগীতের আদলে তিনি বাংলা সংগীতে যুক্ত করেন নতুন ধারা। পপগুরু, পপ সম্রাট ইত্যাদি নানা বিশেষণে পরিচিত হলেও সংগীতাঙ্গনে ‘গুরু’ বলেই স্মরণ করে থাকেন শিল্পীরা।

তবে এবারের জন্মদিনের বিশেষভাবে হচ্ছে না স্মরণ অনুষ্ঠান। তেমন কোনও আয়োজনের খোঁজও পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, তিনি ও তার গানের প্রসারে কাজ শুরু করেছিল ‘শিল্পী আজম খান ফাউন্ডেশন’। কিন্তু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যপদ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা ও আর্থিক সংকটের কারণে এর সব কার্যক্রম ২০১৭ সালে মুলতবি করে তা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

আজম খানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকায়। তার পুরো নাম মাহবুবুল হক খান। বাবা আফতাব উদ্দিন আহমেদ ও মা জোবেদা খাতুন। তার শৈশবের পাঁচ বছর কাটে আজিমপুর কলোনিতে। তারা ৪ ভাই ও এক বোন ছিলেন। ১৯৫৫ সালে তিনি প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে তার বাবা কমলাপুরে বাড়ি বানালে সেখানে চলে যান পরিবারসহ।

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে আজম খান পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তখন তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে গণসংগীত প্রচার করেন।
১৯৭০ সালে টিএন্ডটি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন তিনি। ১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন আজম খান। কুমিল্লার সালদায় প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন। আজম খান ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের একটি সেকশনের ইনচার্জ। তিনি সেকশন কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর তার ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’ দেশব্যাপী সংগীত জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ১৯৭২ সালে বন্ধু নিলু আর মনসুরকে গিটারে, সাদেককে ড্রামে আর নিজেকে প্রধান ভোকাল করে অনুষ্ঠান শুরু করেন। ওই বছরই তার ‘এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি বিটিভিতে প্রচার হয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। পরবর্তী সময় বিটিভিতে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ গান গেয়ে হইচই ফেলে দেন আজম খান।

Link copied!