ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম লাল কার্ড পেলেন সুনীল নারিন, দিলেন আম্পায়ার জাহিদ বাসারাথ। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) স্লো ওভাররেটের শাস্তির কারণে প্রথম লাল কার্ড দেখা খেলোয়াড় হলেন নারিন।
সোমবার ভোরে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষ ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন তিনি।
এ মৌসুম থেকে সিপিএলে স্লো ওভাররেটের কারণে মাঠেই শাস্তি দেওয়া হবে প্রচলিত নিয়মের বাইরেও। এ নিয়ম অনুযায়ী, ইনিংসের ১৮তম ওভার শুরুর সময় কোনো দল পিছিয়ে থাকলে বাড়তি একজন খেলোয়াড়কে ৩০ গজের বৃত্তের ভেতরে ঢুকতে হবে, অর্থাৎ কমপক্ষে ৫ জনকে ভেতরে থাকতেই হবে।
১৯তম ওভার শেষেও যদি ওভাররেটে কোনো দল পিছিয়ে থাকে, তাহলে বাড়তি দুজন— মানে মোট ৬ জনকে আনতে হবে ৩০ গজের বৃত্তের ভেতর।
আর শেষ ওভারে গিয়েও যদি কোনো দল পিছিয়েই থাকে, তাহলে অধিনায়কের নির্বাচিত একজন খেলোয়াড়কে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। বৃত্তের ভেতর ৬ জনকে থাকতে হবে, মানে বৃত্তের বাইরে পাওয়ার প্লের মতো মাত্র দুজন ফিল্ডার থাকতে পারবেন।
ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স আজ এ শাস্তিই পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে ততক্ষণে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া নারাইনকে নির্বাচন করেন অধিনায়ক পোলার্ড, এ কারণে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে।
ম্যাচ শেষে স্লো ওভাররেটের এমন শাস্তির নিয়মের সমালোচনা করে পোলার্ড বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, সবাই যে কঠোর পরিশ্রম করে, তা এতে মিলিয়ে যায়। আমরা দাবার ঘুঁটির মতো, আমাদের যা বলা হবে, তা–ই করব। আমরা যতটা দ্রুত পারি খেলব। তবে আপনাকে যদি এমন টুর্নামেন্টে ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে সেটি হাস্যকর হয়ে যায়।’
এমন শাস্তির নিয়ম চালু করার পেছনের কারণে হিসেবে সিপিএলের টুর্নামেন্ট পরিচালক মাইকেল হল বলেছিলেন, ‘আমরা হতাশ, আমাদের টি-টোয়েন্টি খেলাগুলোও প্রতিবছর দীর্ঘতর হয়ে যাচ্ছে। এই ধারা বন্ধ করতে আমরা যা করার, তা করতে চাই। খেলাটা চলমান রাখার দায়িত্ব ক্রিকেট–সংশ্লিষ্ট সবার। আমরা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ম্যাচ অফিশিয়াল সবাইকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করেছি। আশা করছি, খেলায় শাস্তির ব্যবহার করতে হবে না।’