তামিম ইকবালের অধিনায়োকচিত সেঞ্চুরিতে ভর করে জিম্বাবুয়েকে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ৫ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ। ৩ ওয়ানডে ম্যাচের তিনটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল টাইগাররা। স্বাগতিকরা ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ। বাংলাদেশ ৪৮ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর করে (৩০২/৫)। সোহান ৪৫ ও আফিফ ২৬ রান করে দলকে জেতান। জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তারা।
২৯৯ রানের টার্গেট বড় ছিল। তামিম ১১২ রানে আউট হন। এছাড়া লিটন ৩২ ও মিথুন ৩০ রান করেছেন। দলে জায়গা পেয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন কাজি নুরুল হাসান সোহান। তামিম ৯৭ বলের ইনিংসে ৮টি চার ও ৩টি ছয় মেরেছেন। এটি তার ১৪তম ওয়ানডে শতরান। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেটা চতুর্থ।
তামিমের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস জিম্বাবুয়ের সঙ্গে। আবার সর্বশেষ সেঞ্চুরিটিও এই দলের বিপক্ষে। সিলেটে ৬ মার্চ ২০২০ সালে সেঞ্চুরিটি করে খান সাহেব খ্যাত এই দেশসেরা ওপেনার।
আর এক ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা সর্বোচ্চ ১৫৮ রানও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ৭টি চার ও তিনটি ছয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেও খেলতে থাকেন তামিম। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি।
২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই জিম্বাবুয়ের সাথে অভিষেক হয়েছিল তামিমের। আজকের ওয়ানডে ম্যাচটি ২১৯তম। ৩২ বছর বয়সী তামিম আর কত দূর যাবেন সেটাই দেখার ব্যাপার।
এর আগে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ২৯৯ রানের টার্গেট দেয় জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করতে চাইলে বাংলাদেশকে এই লক্ষ্য পূরণ করতে হবেই এমন লক্ষ্য ছিল। ২০০৯ সালের পর দেশের বাইরে ওয়ানডে সিরিজে কোনো দেশকে ধবলধোলাই করার সুযোগ সাকিবদের। আর সেটা তারা পেরেছেন।
টসে জিতে তামিম ইকবাল ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। চাকাভা (৮৪), রাজা (৫৭) ও রায়ানের (৫৯) ব্যাটে ভর করে জিম্বাবুয়ে বিশাল স্কোর গড়ে তোলে। সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমান সমান ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন। জিম্বাবুয়ে ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হয় ।
৩ ম্যাচের সিরিজ এটি। বাংলাদেশ ২-০ তে এগিয়ে ছিলই। জিম্বাবুয়ের হোয়াইওয়াশ এড়ানোর লড়াই এটি। তবে তারা পারেনি।
বাংলাদেশ একাদশে দুটি পরিবর্তন ঘটে। শেষ ওয়ানডেতে সুযোগ পান কাজী নুরুল হাসান সোহান। মেহেদী হাসান মিরাজ হাতের চোটে বিশ্রাম পেয়েছেন। তার পরিবর্তে সোহানকে নেওয়া হয়।
এছাড়া বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে শরিফুল ইসলামকে। দলে ফেরেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ওয়ানডেতে গোড়ালির চোটে খেলতে পারেননি মোস্তাফিজ।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন মোস্তাফিজুর রহমান ও সাইফউদ্দিন। আগে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেলেও ওয়ানডে সুপার লিগের ম্যাচ হওয়াতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।