এপ্রিল ৯, ২০২২, ১১:০১ এএম
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের কোভিড-১৯ টিকাদান অভিযান এখন পর্যন্ত বেশ সফল এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অনেকটা এগিয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বিশ্ব জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে দুই ডোজ পদ্ধতিতে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ৬ এপ্রিল পর্যন্ত, বাংলাদেশ জনসংখ্যার ৭৫ দশমিক ২৫ শতাংশকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের একটি ডোজ, ৬৭ দশমিক ৩৭ শতাংশকে দুই ডোজ এবং ৯ দশমিক ১০ শতাংশকে তিনটি ডোজ দিয়েছে - যা অনেক উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশগুলির থেকে ভালো অবস্থান।
বাংলাদেশের সরকারের টিকা কার্যক্রম সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, টিকাদান অভিযানের সাফল্যের কারণেই অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে, শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে ফিরে এসেছে এবং সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রম বাধাহীনভাবে চলছে। সময়মতো টিকা নেওয়ায় সংক্রমণ এবং মৃত্যু কম এসেছে। মালেক বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে মাত্র ৪৮ টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে এবং টানা চতুর্থ দিনের জন্য, কোভিড-১৯ থেকে কোন মৃত্যু হয়নি। আমরা যেভাবে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পেরেছি তা বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ। বিশ্বের কোনো দেশ একদিনে এক কোটি ডোজ টিকা দিতে পারে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৭ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে ২৯.৬৪ কোটি ডোজ টিকা পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অধীনে ৯ দশমিক ২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে সরকার। এর মধ্যে সিরাম থেকে ১ দশমিক ৫ কোটি এবং সিনোফার্ম থেকে ৭ দশমিক ৭ কোটি ডোজ কেনা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় প্রাক্কলন অনুসারে সরকার ভ্যাকসিন ক্রয় ও পরিবহনে প্রায় ১৩ হাজার ৩শ ১১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। সম্প্রতি এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি থেকে সরকার ৯৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নেয়। কোভিডের টিকা কিনতে সেই ঋণের অর্থ থেকে ৭৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। এরমধ্যে সিরামকে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হয় এবং এ সংক্রান্ত কাজে আরও ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে সরকার।
সূত্র-দ্য ডেইলি স্টার