করোনায় ভারতে মৃত্যুসংখ্যা ৫ লাখ নয়, ৩৫ লাখেরও বেশি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৭, ২০২২, ০৯:১৪ পিএম

করোনায় ভারতে মৃত্যুসংখ্যা ৫ লাখ নয়, ৩৫ লাখেরও বেশি

করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভারতে সরকারিভাবে প্রকাশিত মৃত্যুর সংখ্যার চাইতে প্রকৃত সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’র এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।   

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি ও ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে দেশটিতে রবিবার (১৭ এপ্রিল, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা পর্যন্ত) মোট ৫ লাখ ২১ হাজার ৭৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ সংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখের বেশি। এই হিসেবে  করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর দেশ হবে ভারত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (ডব্লিউএইচও) প্রকাশ হতে যাওয়া একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে  দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এমনটি বলেছে।

ডব্লিউএইচও’র নতুন হিসাব অনুযায়ী, করোনা মহামারিতে গত বছরের(২০২১) শেষ নাগাদ দেড় কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  শুরুর দিকের ধারণার চেয়ে এ সংখ্যা অনেক বেশি। তবে, সুনির্দিষ্ট সংখ্যাটি প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখতে ডব্লিউএইচও যে উচ্চাভিলাসী উদ্যোগ চালু করেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবের চেয়ে অনেকগুণ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, করোনায় আক্রান্ত হয়ে রবিবার (১৭ এপ্রিল,বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা পর্যন্ত) বিশ্বে মোট ৬২ লাখ ২২ হাজার ৪৪১ জনের  মৃত্যু হয়েছে। অথচ ডব্লিউএইচও’র সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, ২০২১ সালের শেষ নাগাদই এ মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় কোটি।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাড়তি প্রায় ৯০ লাখের এক তৃতীয়াংশ ভারতের। এ হিসেবে ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫ লাখেরও বেশি। এ বিষয়ে অবশ্য ভারত সরকারের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়। তবে ভারত ছাড়া অন্য দেশের তথ্য জানায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই সংবাদমাধ্যম।

ডব্লিউএইচও’র গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে  আবশ্য প্রশ্ন তুলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। রবিবার ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে  ‘কম জনগোষ্ঠীর দেশে ব্যবহার করা গবেষণা পদ্ধতি বিপুল জনসংখ্যার দেশ ভারতে ব্যবহার করা যাবে না।’

চলতি বছরের শুরুতেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার কথা ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটির। চলতি এপ্রিলে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হতে পারে। নিউইয়র্ক টাইমসকে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র মুখপাত্র আমনা স্মাইলবেগোভিচ।

Link copied!