দেশে পৌঁছেছে ফাইজারের করোনার টিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ১, ২০২১, ০৬:২৯ এএম

দেশে পৌঁছেছে ফাইজারের করোনার টিকা

ঢাকায় পৌঁছেছে ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ করোনার টিকা। সোমবার (৩১ মে) রাত এগারোটার দিকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে কোভ্যাক্স থেকে পাঠানো এ টিকার চালান ঢাকায় পৌঁছায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ফ্রিজার ভ্যানে করে টিকার চালান নেওয়া হবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংরক্ষণাগারে। সব ধরনের প্রস্তুতিই তারা নিয়েছেন। সেজন্য আল্ট্রা-লো ফ্রিজার প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যাতে কোনো সমস্যা না হয়।

কেন্দ্রে নেওয়ার পর ডাইলুয়েন্ট মিশিয়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে মানবদেহে। সংরক্ষণ ও প্রয়োগ পদ্ধতিতে আগের ভ্যাকসিনগুলোর তুলনায় কিছু ভিন্নতা থাকায় ফাইজারের টিকার অপচয় রোধ করার দিকে নজর রাখার অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাও নিতে হবে দুই ডোজ করে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ওপর ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ফাইজারের টিকার দুই লাখ ডোজ টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা তাদের আছে। সক্ষমতা বাড়ালে ১০ লাখ ডোজ টিকাও সংরক্ষণ করা যাবে।

তবে ফাইজারের এ টিকা সংরক্ষণ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে আপাতত ঢাকার বাইরে নেওয়া হবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত ঠিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বলেন, এখানে অবশ্যই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর ছয়জন মানুষকে প্রস্তুত করে আমাদের ভ্যাকসিন কাজটা শুরু করতে হবে। তবে আমরা এক একটা ভায়েলকে ব্যবহার করতে পারব।   

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন,  এ ৫০ হাজার টিকা যদি পঞ্চান্নোর্ধ্ব হয় তাহলে সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয় তাদের দেওয়ার সুযোগ আছে। এটা আমরা বেস্ট ইউজ করলাম।  

তবে, ফাইজারের টিকার সংরক্ষণ পদ্ধতির জটিল হওয়ায় টিকা কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

সব দেশের জন্য কোভিড টিকা নিশ্চিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক উদ্যোগে কোভ্যাক্স থেকে আসা এটিই হবে প্রথম চালান। তবে এ টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, কিছুটা জটিলতা থাকলেও প্রয়োজনীয় সক্ষমতা আছে বাংলাদেশের।












Link copied!