বেটা
ফুটবল বিশ্বকাপ এলে সবচেয়ে আলোচনায় থাকে ব্রাজিল ফুটবল টিম। সেই টিমের যে স্ট্রাইকররা থাকেন, গণমাধ্যম তো বটেই দর্শকদের বিপুল আগ্রহ তাঁদেরকে ঘিরে। চলতি বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের প্রাণভোমরা হচ্ছেন নেইমার। সেই নেইমারই সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে নেমে পেলেন গোড়ালিতে প্রচণ্ড আঘাত। ফলে মাঠ থেকেই ছিটকে যেতে হয়েছে তাঁকে। এখন তিনি হাসপাতালে। এ কারণে প্রথম রাউন্ডে খেলা হচ্ছে না ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ডের।
পরের রাউন্ডে তাঁর খেলা এখনও নিশ্চিত নয়। অথচ বিশ্বকাপ জয়ের জন্য নেইমারের দিকেই তাকিয়ে ব্রাজিল। এই পরিস্থিতিতে নেইমারের না-খেলাটা ব্রাজিলের জন্য বড় ধাক্কা। নেইমারের চোট সারাতে একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। একজন স্ট্রাইকার তথা ফুটবলারের এমন আসরে এই ভাগ্যবিড়ম্বনা বড় বেদনাদায়ক। এই হাহাকার ছুঁয়ে গেছে ইতালির সাবেক ফুটবলার আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরোকেও। তিনি তো এক অভাবনীয় প্রস্তাবও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নেইমার তাঁর চোট সারিয়ে যেন মাঠে ফিরে আসে দ্রুত, আমি এই কামনা করছি। দরকারে আমি আমার পায়ের গোড়ালি দিয়ে দেব তাঁকে। তবুও যেন সে সেরে উঠে।
এর আগেও বহুবার দেল পিয়েরো নেইমারের প্রশংসায় কথা বলেছেন নানা গণমাধ্যমের কাছে। তিনি এখন মনেপ্রাণে চান নেইমার যে চোট সারিয়ে দ্রুত মাঠে ফিরেন। সার্বিয়ার পক্ষে প্রথম ম্যাচে ৮০ মিনিট মাঠে ছিলেন নেইমার।
ম্যাচে বিপক্ষের খেলোয়াড়রা নেইমারকে একাধিকবার ফাউল করেন। শেষতক ইনজুরির শিকার নেইমার কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন। দেখা যায় তাঁর গোড়ালি ফুলে গেছে।
সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে দেল পিয়েরো বলেন, ‘এখনকার খেলোয়াড়দের শরীর আগের চেয়ে অনেক উন্নত। ওরা অনেক শক্তিশালী ও দ্রুতগতির। আমরা অনেক কঠিন লড়াই দেখছি বিশ্বকাপে। নেইমার এই লড়াইয়ে সেরা। আশা করি, ওকে দ্রুত মাঠে দেখতে পাব। এজন্য নেইমারকে যদি আমার গোড়ালিও দেওয়া লাগে, তাহলে আমি খুশি হয়ে ওকে সেটা দিয়ে দেব। ও চোট পাওয়ায় আমার খুব খারাপ লাগছে।’
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
