বেটা
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরুর পরিপ্রেক্ষিতে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো। সামরিক নিরাপত্তা জোটভূক্ত দেশগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রথম বারের জন্য বিশেষ বাহিনীকে (রেসপন্স ফোর্স) সক্রিয় করেছে সংস্থাটি। ন্যাটো বাহিনীর প্রধান কমান্ডার জেনারেল টড ওলটার্স স্থল, বায়ু, সমুদ্রে সেনার পাশাপাশি বিশেষ সেনাদেরও সক্রিয় করেছেন।
আরও পড়তে পারেন: সাড়ে ৩ হাজার রুশ সেনা নিহত ও ২০০ জনকে বন্দির দাবি ইউক্রেনের
রুশ সামরিক হামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর দেশগুলো ইউক্রেনকে সমর্থনে করলেও তারা প্রত্যক্ষ সঙ্ঘাতে যাবে না বলে আগেই স্পষ্ট করেছিল। তাই ন্যাটো বিশেষ বাহিনীকে সক্রিয় করলেও এই বাহিনী ইউক্রেনে গিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সঙ্ঘাতে জড়াবে না। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরূদ্ধে সন্ত্রস্ত নেটো দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্যই নেটো সেনাদের পূর্ব ইউরোপে মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: ইউক্রেনে প্রথম সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে পোল্যান্ড
ন্যাটো রেসপন্স ফোর্সে মোট ৪০ হাজার সেনা রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে কত জনকে সক্রিয় করা হল তা নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি ন্যাটো। ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য নেটো জোটকে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”
আরও পড়তে পারেন: দেশ ছাড়তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন জেলেনস্কি
আমাদের সব কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “এমনকি যদি আমাদের এর জন্য উপযুক্ত মূল্য দিতে হয়, তাও দিতে হবে। আমাদের এই পরিস্থিতি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। ঠিক এই কারণেই আমরা প্রথম বারের জন্য নেটো রেসপন্স ফোর্স মোতায়েন করছি।’’
শুক্রবার সকালে নেটো দেশগুলির শীর্ষনেতাদের মধ্যে ফোনে কথোপকথনের পর রেসপন্স ফোর্স সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য পুতিনের হুমকির মোকাবিলায় নেটো ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
