ওমিক্রন এড়াতে বিজিএমইএ’র ১৭ নির্দেশনা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ৪, ২০২১, ১১:৪০ পিএম

ওমিক্রন এড়াতে বিজিএমইএ’র ১৭ নির্দেশনা

বাংলাদেশে এখনও করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়নি। তারপরও পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে দেশের পোশাক কারখানাগুলোতে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বিজিএমইএর সচিব মো. ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে  এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, শ্রমিকদের ভিড় এড়াতে পোশাক কারখানায় উৎপাদন শুরু ও ছুটির ভিন্ন ভিন্ন সময় নির্ধারণে জোর দিতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা দরকার। সম্ভব হলে বিভিন্ন বিভাগের কর্মঘণ্টার জন্য আলাদা শিফটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

কারখানায় প্রবেশের সময় শ্রমিকদের দেহের তাপমাত্রা পরিমাপ এবং প্রয়োজনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। কারখানায় প্রবেশের সময় প্রধান ফটকসংলগ্ন এলাকায় শ্রমিকদের হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান-পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে।

কাজের জায়গায় শ্রমিকদের ভিড় এড়িয়ে চলার জন্য দুপুরের খাবারের বিরতিসহ অন্যান্য বিরতির জন্য বিভিন্ন বিভাগের শ্রমিকদের আলাদা আলাদা সময় নির্ধারণ করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে সার্বক্ষণিকভাবে শ্রমিক-কর্মচারীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য লোকসমাগম এড়িয়ে চলতে শ্রমিকদের পরামর্শ দিতে বলা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হলে রোগীকে আইসোলেশনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে হবে কারখানা কর্তৃপক্ষকে।

এর আগে, সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা গাইডলাইন ও হেলথ প্রটোকল যথাযথভাবে অনুসরণ করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছিল। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিলে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে বলেও জাননো হয় বিজ্ঞপ্তিতে

Link copied!