কানাডা ও আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে না পেরে অবশেষে দেশেই ফিরলেন অশালীন ও বর্ণবাদী মন্তব্য করাসহ অশ্লীল কথোপকথনের অডিও ফাঁসের ঘটনায় নৈতিক স্খলনের দায়ে পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটের দিকে এমিরেটসের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে দুবাই হয়ে কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন মুরাদ হাসান। কিন্তু টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ঢুকতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে তাকে আবার দুবাইতে ফিরে আসতে হয়। আরব আমিরাতের ভিসা পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন মুরাদ হাসান। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়।
দুবাই বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, টরেন্টো থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-২৪২ ফ্লাইটে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় দুবাইয়ে এসে পৌঁছান ডা. মুরাদ হাসান। এরপর তিনি বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ এ প্রবেশ করেন। তবে অন-অ্যারাইভাল অথবা পর্যটন ভিসা না থাকায় তিনি ইমিগ্রেশন পার হতে পারেননি।
সূত্র আরও জানায়, বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় বসে দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে ডা. মুরাদ যোগাযোগ করেছেন। তার সঙ্গে কথা বললেও শনিবার দুবাইয়ে সরকারি ছুটি থাকায় ভিসার ব্যবস্থা করতে পারেননি দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন ও বর্ণবাদী মন্তব্য করাসহ অভিনেত্রী মাহির সঙ্গে ফোনালাপে তাকে ‘ধর্ষণের হুমকি’ দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকি দেন মুরাদ হাসান।
এসব ঘটনায় চরম বিতর্কের মুখে পড়েন মুরাদ হাসান। নারী অধিকারকর্মীসহ রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রীর প্রতি। কোনো কোনো বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগও চাওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবহিত হওয়ার পর তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ৈ দেন।