ডিমে বাড়তি ব্যয় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ৯, ২০২১, ০১:২৪ এএম

ডিমে বাড়তি ব্যয় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা

প্রত্যাহিক জীবনে ডিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য। কারো কারো সকালের নাস্তায় ডিম না হলে চলেই না। আবার সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত শরীরে ফিরে বাসায় কিছু রাঁধতে ইচ্ছে না হলেও কখনো ভাত দিয়ে ডিম ভাজি, কখনো ডিম ভাজি দিয়ে গরম ভাত সাথে ঘি। কিন্তু চলতি বছরে ডিম বাবদ বাড়তি সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে সাধারণ জনগনের।

প্রতি পিস ডিমের দাম ২ টাকা বৃদ্ধি

প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২১- ২০২২ অর্থবছরে ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ২৬৬ কোটি ৪৪ লাখ পিস। যা  ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি ৬৭ লাখ পিস। তবে উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও ডিমের দাম প্রতি পিস ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে এক বছরের ব্যবধানে ৪৫৩২ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় হচ্ছে। গত বছরে প্রতি পিস ডিমের দাম সাড়ে সাত টাকা থাকলেও চলতি বছরে সাড়ে ৯ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ডিম। 

২০২০-২১ অর্থ বছরে সাড়ে সাত টাকা পিস হিসেবে ডিম বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার ৪৩২ কোটি ৫২ লাখ টাকার। যা চলতি বছরে সাড়ে ৯ টাকা দরে বিক্রি হবে ২১ হাজার ৫৩১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। 

পোল্ট্রি ফিডে বাড়ছে ডিমের দাম

তবে বাড়তি এই ডিমের দামে, বাজার ঘুরে অনেকটা উদ্বিগ্ন ডিমপ্রেমী মানুষেরা। দিন দিন দুই তিন করে গুটিঁ গুটিঁ পায় ডিমের দাম বেড়েই চলেছে। তবে বাড়তি এই ডিমের কারণ খুজঁতে গেলে বিক্রেতারা বলেন, ডিম যারা সাপ্লাই করেন তাদের থেকেই দাম বেড়েছে। হিসেবে দুই টাকা করে। তাই বাধ্য হয়ে বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ এগ প্রডিসার এসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকি বলেন, ডিমের দাম তারা বাড়িয়েছেন কারণ সকল ধরনের মুরগীর ফিডের দাম বেড়ে গেছে। আগে যেখানে দাম ছিল ৩২ টাকা এখন তার দাম বেড়ে হয়েছে ৪২ টাকা। খাদ্যের এই বাড়তি দামের কারণে বাড়ছে প্রডাকশন কস্ট। তাই দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষায় তারা দাম বাড়িয়ে এখন প্রায় আট টাকায় ডিম সেল করেন।

ডিমের দাম কমাতে উদ্যোগী সরকার

সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে ডিমের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ যেন অনুধাবন করতে পারে, খাবারের শ্রেষ্ঠতম একটা উপকরণ ডিম। এই খাদ্য উপাদান যেন ব্যয়বহুল না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যতটুকু ব্যয় হয় সেটা কীভাবে কমানো যায় সেজন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যৌথ পরিকল্পনা নেয়া হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে ব্যয়ের কারণে ডিম যেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে না যায়।

Link copied!