থার্টিফার্স্টে পারকি ও পতেঙ্গা সৈকতে যেতে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ৩১, ২০২১, ০৯:১৭ পিএম

থার্টিফার্স্টে পারকি ও পতেঙ্গা সৈকতে যেতে নিষেধাজ্ঞা

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ উপলক্ষে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা রুখতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। কেউ নির্দেশনা না মানলে ন্যূনতম ছাড় না দেওয়ার নির্দেশও পেয়েছে পুলিশ। 

বর্ষবরণ উদযাপনে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কিংবা পারকি সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে পরদিন শনিবার (০১ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত এই দুই সৈকতে জনসাধারণকে অবস্থান না করার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। রাতে কোনো ভবনের ছাদে আতশবাজি কিংবা পটকা ফোটানো হলেও সেই ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। 

থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে চট্টগ্রাম মহানগরীতে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল থেকেই থাকছে বাড়তি নজরদারি। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বসছে তল্লাশি চৌকি।

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন, গির্জা, হোটেল, ক্লাব ও বিনোদনকেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ইতোমধ্যে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে কিছু নির্দেশনা মানার কথা জানিয়ে দিয়েছে সিএমপি।

যা যা করা যাবে না:

১. রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ এবং প্রকাশ্য স্থানে কোন ধরনের জমায়েত, সমাবেশ কিংবা উৎসব করা যাবে না।

২. থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনুমোদিত স্থানে আয়োজিত সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে করোনা-সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনাসমূহ ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

৩. উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন বা সমাবেশ বা নাচ, গান ও কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।

৪. কোথাও কোন ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। কোনো ভবনের ছাদে আতশবাজি বা পটকা ফোটানো হলে ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৫. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও পারকি সৈকত এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।

৬. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লাইসেন্সকৃত সকল বার ও মদের দোকান বন্ধ থাকবে।

৭. উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ন বাজানো যাবে না কিংবা জয়রাইড, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালানো যাবে না।

৮. আনন্দ উদযাপনের মধ্যে সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখতে হবে।

৯. মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১০. সকল অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।

১১. নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে।

১২. অশোভন আচরণ এবং বে-আইনি কার্যকলাপ হতে বিরত থাকতে হবে।

১৩. হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোন স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না।

১৪. জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এমন যে কোন কর্মকাণ্ড পরিহার করতে হবে।

১৫. ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টার পর সকল ফাস্টফুডের দোকানসহ মার্কেট বন্ধ রাখতে হবে।

১৬. ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ১ জানুয়ারি ২০২২ সকাল ১০টা পর্যন্ত সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ।

Link copied!