কুমিল্লায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইকবাল হোসেনসহ চার আসামির প্রত্যেককে দ্বিতীয় দফায় ৫দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার এনামুল হক।
এর আগে গত শনিবার(২৩ অক্টোবর) কুমিল্লা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ইকবাল হোসেনসহ চার আসামির প্রত্যেককে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন, রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর নানুয়া দীঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িত শনাক্ত ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছেন। গতকাল তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার পর হনুমানের মূর্তি থেকে গদা সরিয়ে নেওয়ার কথাও পুলিশকে জানিয়েছেন ইকবাল। তবে কার নির্দেশে এই কাজ করেছেন, তা এখনও জানাননি।
এর আগেই পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার ছিলো ৯৯৯ এ প্রথম কল করা ইকবাল হোসেন এবং দারোগাবাড়ী মাজারের খাদেম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ুন কবীর।
কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার মামলা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলার তদন্ত ভার পায় সিআইডি।