নিজের নাম সার্চ কমিটিতে কিভাবে এসেছে সেটি জানেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরিন আহমদ। তিনি বলেন, “আমি কিছুই জানতাম না। আমাকে আমার একজন সাবেক শিক্ষার্থী জানিয়েছে। তারপর আমি দেখি সেখানে এতগুলো নাম।”
দায়িত্ব পেলে সেটি গ্রহণ করতে প্রস্তুত কিনা জানতে চাইলে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি।
তিনি বলেন, “এটি অনেক বড় দায়িত্ব। হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার পক্ষে কঠিন। আমাদের দেশে এই পদটি নিয়ে সবসময়ই সমালোচনা আলোচনা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জনগন বিপক্ষে থাকে।”
তবে ভবিষ্যতে যেনো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয় সেই আশা করে তিনি বলেন, “যারাই দায়িত্বে আসবে তারা যেন বিতর্কিত না হন। সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলেও অনেকক্ষেত্রে বিভিন্ন চাপে সেটি হয় না। এখানে অনেকে থাকবেন। তাই শুধু একজনের চাওয়াতে কিছু হয় না। সকলের আগ্রহ থাকলেই তবে বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন বলেন, “আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে অনেকেই আমার সাথে এই কমিটির লিস্ট শেয়ার করেছে যাতে আমার নামও দেখতে পাই।”
তিনি আরও বলেন, "আমি এখনও জানি না কে বা কারা আমার নাম প্রস্তাব করেছেন।"
দায়িত্ব পেলে কী করবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আসলে আমি এই সম্পর্কে কিছুই জানি না। ডেপুটেশনে যেতে হবে কি না? নাকি অধ্যাপনা ছেড়ে দায়িত্ব নিতে হবে তা সম্পর্কেও কোন ধারনা নেই।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, “আমি যদি দায়িত্ব পাই তবে আমি নির্বাচন নিয়ে মানুষের ধারণার পরিবর্তনের একটা চেষ্টা অবশ্যই করবো।”
বিভিন্ন সময়ে উপেক্ষিত হয়ে আসা আমাকে এতো বড় দায়িত্ব দিবেন তা কল্পনাতীত, বলেও মন্তব্য করেন।
এটা এক ধরনের গ্যাম্বলিং উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি তো এখানে কারো নাম বাদ দেখি না। তবে যে বা যারা আমার নাম দিয়েছেন তারা যে আমার উপর আস্থা রেখেছেন তার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ দেওয়া যেতে পারে।”