পুলিশের তৎপরতায় যেভাবে বেঁচে গেল তিনটি প্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২০, ২০২২, ০৮:১৫ এএম

পুলিশের তৎপরতায় যেভাবে বেঁচে গেল তিনটি প্রাণ

পুলিশের তৎপরতায় বেঁচে গেল তিনটি প্রাণ। পারিবারিক কলহের জের ধরে এক যুবক তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে লাইভে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ায় যুবক ও তার দুই শিশুসন্তান বেঁচে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ সদরে শুক্রবার বিকেলে।

জানা যায়, ১০ বছর আগে যুবকের বিয়ে হয়। তার সংসারে আছে ৯ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ৪ বছর বয়সী এক ছেলেসন্তান। সম্প্রতি পারিবারিক কলহের জেরে ওই দম্পতির বিচ্ছেদ ঘটে। স্বামীকে তালাক দিয়ে দুই সন্তানকে বাবার কাছে পাঠিয়ে দেন স্ত্রী। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে শ্বশুরবাড়ি থেকে লাঞ্ছিত হয়ে ফিরে আসেন স্বামী।

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এর বিজ্ঞাপন

শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জালকুড়ি এলাকা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে ওই যুবক হতাশা থেকে দুই সন্তানসহ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা জানান। দোকান থেকে তিনজনের জন্য কাফনের কাপড়ও সংগ্রহ করেন তিনি। ফেসবুকে এ বিষয়টি জানতে পারেন তাঁরই এক ফ্রেন্ড। তিনি দ্রুত জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানান। এরপরই পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে।

পুলিশ প্রথমে ফেসবুক থেকে ওই যুবকের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। এরপর তাঁর সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করে তাঁকে আত্মহত্যার পথ থেকে ফেরায়। পরে থানায় ডেকে এনে কাউন্সেলিং ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে আত্মহত্যার পথ থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় তাঁদের নাম-পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ওই ব্যক্তির স্ত্রী তাঁকে তালাক দিলে প্রচণ্ড হতাশা থেকে দুই সন্তান নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। এ জন্য ফেসবুক লাইভ শুরু করে তিনি বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। ওই ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যন্ত্রাংশের ব্যবসা করেন। থানায় ডেকে এনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আত্মহত্যার পথ থেকে নির্বৃত্ত করা হয়েছে।

নাজমুল হাসান বলেন, ‘সংসারটি টিকে যাওয়ার মতো। পরে শ্বশুর, শাশুড়ি, আইনজীবী ও স্থানীয় গণ্যমান্য এক ব্যক্তির উপস্থিতিতে ওই ব্যক্তিকে তাঁদের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। মানবিক কারণে তাঁকে আরেকবার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। তাঁরা একসঙ্গেই আছেন।’

Link copied!