ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২, ০১:২৫ এএম
মরক্কোয় গত কয়েকদিন ধরে পাঁচ বছর বয়সী যে শিশুটি একটি গভীর কুয়ার ভেতরে আটকা পড়ে ছিলো তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, ভূমিধ্বসের আশঙ্কায় শিশুটিকে উদ্ধারের এই তৎপরতা কিছুটা জটিল হয়ে ওঠে।
উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে শিশুটির নাম রায়ান। তার পিতা চারদিন আগে যখন কুয়াটি মেরামতের কাজ করছিলেন তখন সে হঠাৎ করে ৩০ মিটার (১০৪ ফুট) গভীরে পড়ে যায়।
মরক্কোর উত্তরাঞ্চলীয় একটি গ্রামে শিশুটিকে উদ্ধারের এই তৎপরতা মরক্কোর প্রতিবেশি আলজেরিয়ার মানুষেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। উদ্ধারকাজ দেখতে ঘটনাস্থলে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ।
রোববার সকালে রায়ানকে উদ্ধারের এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। এর আগে রায়ানকে উদ্ধারে পরিচালিত অভিযান বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোচনার সৃস্টি করে।
যেভাবে উদ্ধারকাজ
কুয়াটি বেশি প্রশস্ত না হওয়ার কারণে সেখানে বড় আকারের গর্ত তৈরি করে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলে। বুলডোজার দিয়ে এই গর্ত করা হয় কুয়ার সমান্তরালে। কিন্তু সেখানকার মাটিতে পাথর ও বালি থাকার কারণে জায়গাটি ধসে পড়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়।
গত মঙ্গলবার থেকে বালক রায়ানকে উদ্ধারের চেষ্টা চলে। গর্তটি যখন কুয়ার গভীরতার সমান পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় তখন আড়াআড়ি সুড়ঙ্গ তৈরি করে শিশুটিকে বের করে আনা হয়।
শিশুটির কাছে পৌঁছাতে পারছে না কেন
এরআগে স্থানীয় অনেক স্বেচ্ছাসেবী ও উদ্ধার-কর্মীরা বার বার কুয়ার নিচে নামার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
"সমস্যা ছিলো কুয়াটি খুব সরু। এর ব্যাস মাত্র ২৫ সেমি (৯.৮ ইঞ্চি)। কুয়ার ২৮ মিটার গভীরে গিয়ে এটি আরো বেশি সরু হয়ে যায়। ফলে উদ্ধারকর্দের শিশুটিকে উদ্ধার করতে বেশি সময় লাগে।
মরক্কোর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় কাঁদছিলেন রায়ানের মা। তিনি বলেন, "পুরো পরিবারটিই তাকে খুঁজতে গিয়েছিল।