অক্টোবর ৩, ২০২১, ০৩:২২ পিএম
প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে ইভ্যালির মার্চেন্ট ও ভোক্তারা।
রবিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির(ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালির ক্ষতিগ্রস্ত মার্চেন্ট ও ভোক্তারা মোহাম্মদ রাসেলেল মুক্তিসহ ই-কমার্স প্লাটফর্মের সুরক্ষার জন্য সরকারি সহায়তা চান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ই-কমার্স বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাত যা দেশের জিডিপির সাথে সাথে দেশের বেকার সমস্যা দূর করে। তাই সরকারের উচিত এই সেক্টরকে সুরক্ষার জন্য সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা।
এসময় তারা রাসেলের মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। এছাড়াও তাদের নজরদারিতে রাখার মাধ্যমে ব্যবসার সুযোগ দেয়া, ই-কমার্স প্লাটফর্মগুলোকে প্রণোদনা দেয়া ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাধ্যতামূলক লাইসেন্সসহ ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করারও দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন 'ইভ্যালি মার্চেন্ট এবং ভোক্তাবৃন্দের' সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন, কো-সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ই-কমার্স কাস্টমার এসোসিয়েশন-বিকার সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান।
সম্মেলনে ইভ্যালির সিইও মো. রাসেলের মুক্তিসহ চলমান অস্থিরতা নিরসন এবং নিরাপদ ই-কমার্স বিনির্মাণে ই-কমার্স গ্রাহকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ই-কমার্স কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি পেশ করা হয়।
ইভ্যালির মার্চেন্ট ও ভোক্তারদের ৭ দফা
১. ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল সাহেবকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে সরকারের কঠোর নজরদারিতে রেখে ই-কমার্স নীতিমালা মেনে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।
২. কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ৩/৪ কার্যদিবসের মধ্যে গ্রাহকের পেমেন্টকৃত টাকা ফেরত দিতে হবে। (এক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়েগুলো কে ডিজিটালাইজ করার বিকল্প নেই।)
৩. কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে গ্রাহকদের পেমেন্টকৃত টাকা গেটওয়েতে (গ্রাহক) Claim করলেই ফেরত দিতে হবে। এক্ষেত্রে ঐ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
৪. যদি কোন কারণে ই-কমার্স এর পেমেন্ট গেটওয়েগুলো গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ করে অথবা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার দায়ভার যারা এটার দায়িত্বে আছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে।
৫. নতুন পুরাতনসহ সকল ডিসকাউন্ট দেওয়া ই-কমার্স কোম্পানি গুলোর লাভ লসের হিসাব প্রতি মাসে মাসে অডিটের ব্যবস্থা করতে হবে। অডিটের খরচ চাইলে সরকার অথবা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে।
৬. কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যদি নতুন করে বিজনেস করতে আসে সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক পরিধির উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হবে। অথবা, ডিসকাউন্ট ভ্যালু সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।
৭. এসক্রো পদ্ধতিকে অটোমেটিক এবং ডিজিটাল করতে হবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে৷ প্রয়োজনে এসক্রো সিস্টেমের ড্যাশবোর্ডে কাস্টমার, মার্চেন্ট, ইকমার্স প্রতিষ্টান, পেমেন্ট গেটওয়ে, ব্যাংক সবার এক্সেস দিতে হবে।