সাংবাদিককে মারধরে ছাত্রলীগের সেই নেতা কারাগারে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ২২, ২০২১, ০২:১৮ এএম

সাংবাদিককে মারধরে ছাত্রলীগের সেই নেতা কারাগারে

দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সিনিয়র স্টাফ করেসপনডেন্ট হিসেবে কর্মরত রিশাদ হুদাকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ধানমন্ডি থানা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিম আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ফকির গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ছেলে রিশাদ হুদা বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ করেসপনডেন্ট।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার(২০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকায় গাড়ির হর্ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা–কাটাকাটির জেরে রিশাদ হুদাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিম আহমেদকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ।পরে নাজিম, তার সহযোগী তানভীর, ইউসুফসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন রিশাদ হুদা।

এই মামলায় নাজিমকে রবিবার আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে পুলিশ। আসামির পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানির পর জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এ ব্যাপারে রিশাদ হুদার সহকর্মী বনি ইবনে কামাল গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার বিকেলে কাঁটাবন এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিলেন রিশাদ। তার সামনে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল। হর্ন দিয়ে ওই গাড়িকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতেই রিশাদকে গালাগাল দিতে শুরু করেন চালক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে গাড়িতে থাকা তিন–চারজন রিশাদকে মারধর করেন। সেখানে উপস্থিত লোকজন এগিয়ে এসে রিশাদকে রক্ষা করেন।

কাঁটাবন থেকে রিশাদ শাহবাগে আসার পর আরেক দফায় তার ওপর হামলা চালানো হয়। একপর্যায়ে রিশাদের পরিচয় পেয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজিম আহমেদ সমঝোতা করতে আজিজ সুপার মার্কেটে নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে আলোচনার সময় বাইরে থেকে কয়েকজন এসে তার ওপর আবারও হামলা চালান।

পরে সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে রিশাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান সহকর্মীরা। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে শাহবাগ থানায় এসে মামলা করেন রিশাদ।

Link copied!