২৫ বাস কোম্পানীর রুট পারমিট বাতিলের সুপারিশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ৯, ২০২১, ০৯:৪৩ পিএম

২৫ বাস কোম্পানীর রুট পারমিট বাতিলের সুপারিশ

রাজধানী ঢাকা এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ২৫ টি কোম্পানীর বাসের রুট পারমিট বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের একই অপরাধ বারাবার করায় এই ২৫টি বাস কোম্পানির বাসের রুট পারমিট বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। 

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত গত এক মাসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের অভিযান চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযানের মাসিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

তালিকা সবচেয়ে বেশি অপরাধকারী বাস কোম্পানির মধ্যে রয়েছে, বসুমতি, রাইদা, পরীস্থান, এম এম লাভলী, অনাবিল, আলিফ, লাব্বাইক, তুরাগ, বলাকা ও স্বাধীন, প্রজাপতি, রজনীগন্ধা, শিকড়, আকাশ, আজমেরী, মনজিল, প্রভাতি, বনশ্রী, আসমানী, প্রচেষ্টা, ভিক্টর, মিডলাইন, ডি-লিংক, রাজধানী, গুলিস্তান-গাজীপুর পরিবহন ও ভিআইপি পরিবহন কোম্পানির এসব বাস একই অপরাধ করছে বলে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বিআরটিএর অভিযানে। 

বিআরটিএ-র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের একই অপরাধ পুনরাবৃত্তিকারী ২৫টি বাস কোম্পানির বাসের তালিকা করেছে।

তালিকাতে গাড়ির নম্বর, অপরাধ সংঘটনের তারিখ ও জরিমানার তথ্য উল্লেখ করে রুট পারমিট বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকা মেট্রো আরটিসি কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে বলে সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. সরওয়ার আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “পরিবহন মালিক ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আমাদের এর আগে বৈঠক হয়েছে। সেখানে আলোচনা হয়েছিল একই অপরাধ বারবার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই হিসেবে বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেটরা একই অপরাধ বারবার করা বাসের তালিকা করেছে। সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এসব বাসের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলাদা একটি কমিটি আছে। তারা রুট পারমিট বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন,“বিআরটিএ যে কথা বলেছে সে অবস্থা এখন আর নেই। এখন সে অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। নিয়মিত অভিযান চলার ফলে বাসগুলো অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে না।” 

বিআরটিএর বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ভাড়া আদয়ের বিরুদ্ধে বিআরটিএ-র ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে গত এক মাসে এক হাজার ৪০৮টি বাসকে ৫৭ লক্ষ ৩১ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করেছে। এসব বাসের মধ্যে ৮০টি সিএনজি ও এক হাজার ৩২৮টি ডিজেল চালিত বাস রয়েছে। 

এদিকে, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে গত ৮ নভেম্বর থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে গণপরিবহনে বিআরটিএ-র অভিযান শুরু হয়। মাস ব্যাপী এই অভিযানে রুট পারমিট না থাকা, জরিমানা অনাদায়সহ বিভিন্ন অপরাধে ৫৬টি বাসকে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে। ৫ জন বাস চালককে বেপরোয়া গাড়ি চালনা ও সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদানের কারণে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

Link copied!