বিপিএল এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল দল ফরচুন বরিশাল । গ্রুপ পর্বে ১০ ম্যাচের ৭টিতে জিতেছে, ২টি হেরেছে এবং একটি ড্র করেছে। এরপর প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে কুমিল্লাকে ১০ রানে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালের টিকিট পায় বরিশাল।
গ্রুপ পর্বে বরিশালের দু’টি হারের একটি ছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে। টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বরিশালকে ৬৩ রানে হারিয়েছিলো ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন কুমিল্লা।
বরিশালের সাতটির মধ্যে টানা জয় ছিলো ছয়টি। সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় পর্বে কুমিল্লাকে ৩২ রানে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছিলো বরিশাল।
প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে কুমিল্লার বিপক্ষে জয়সহ তাদের জয়ের ধারা সাত-এ পৌঁছায়।
এর মানে, টুর্নামেন্টে কুমিল্লার বিপক্ষে তিনবারের লড়াইয়ে এগিয়ে বরিশালই। তাই ফাইনালেও এগিয়ে থাকার পাশাপাশি এই আধিপত্য বজায় রাখতে মরিয়া বরিশাল।
বরিশালের উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘আমরা ভালো ছন্দে রয়েছি এবং এক টানা কিছু ম্যাচ জিতেছি। তাই আমরা জয়ের মাধ্যমেই টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুমিল্লা ভারসাম্যপূর্ণ দল এবং পুরো টুর্নামেন্টে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমার বিশ্বাস যারা ফাইনালে ভালো খেলবে, তারাই ট্রফি জিতবে। এতদিন আমরা ইউনিট হিসেবে খেলেছি। আমরা ফাইনালেও সেরাটা দিতে চাই।’
তৃতীয়বারের মতো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইমরুল কায়েস। তার অধিনায়কত্বে কুমিল্লা শেষবার ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত বিপিএল ট্রফি জিতেছিল।
ইমরুল জানান, কোন কিছুই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তবে তাদের আবারও ট্রফি জয়ের সামর্থ্য রয়েছে। তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা দু’বার ফাইনাল খেলে ট্রফি জিতেছে। আশা করছি আমরা আবার ট্রফি জিতবো। বরিশালের বিপক্ষে কোয়ালিফাইয়ারে হারার পর আমরা হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে ঘুড়ে দাঁড়ানোর পর আমরা আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছি।’
শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা জয়টি আত্মবিশ^াস দিয়েছে। সুনীল নারাইন ১৬ বলে ৫৭ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন। মাত্র ১৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। যা বিপিএলের দ্রুততম এবং টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি।
ইমরুল বলেন, ‘যারা স্নায়ু চাপ কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং বড় চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে, তারাই ট্রফি জিতবে। আমার মনে হয়, যোগ্য দু’টি দল ফাইনাল খেলছে। দুই দলেই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় ভরপুর। আমাদের কাছে নারাইন, ফাফ ডু প্লেসিস এবং মঈন আলীর মত ক্রিকেটার। নারাইন কি করতে পারে, তা গতকাল সবাই দেখেছে। ফাফ এবং মঈনও তাদের দিনে যে কোনো বোলিং লাইন আপকে তছনছ করে দিতে পারে।’