পূর্ব ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ এলাকার একটি স্কুলে রুশ সেনাদের বোমা হামলায় ৬০ জন মারা গেছেন। ওই স্কুলে ইউক্রেনের ৯০ জন বেসামরিক লোক আশ্রয় নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩০জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার রাতে দেওয়া এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রেডিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ তথ্য জানান।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবারের ওই বোমা হামলার পর লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেন, বিলোহোরিভকা এলাকার ওই স্কুলে ৯০ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাশিয়ার বিমান থেকে এখানে বোমা ফেলা হয়েছে।”
নিজের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে রোববার দেওয়া এক বার্তায় লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি হাইদাই জানান, ‘হামলার পর স্কুল ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে ৬০ জন আটকা পড়েছেন এবং সম্ভবত তাদের সবাই প্রাণ হারিয়েছেন।”
লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নরের এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে আলজাজিরা তাৎক্ষণিকভাবে জানালেও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পরে ৬০ জন নিহতের কথা জানান। অবশ্য এই হামলার বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া।
প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।