পরীমনির বিরুদ্ধে স্ক্যান্ডাল ছড়ানো হচ্ছে: গাফফার চৌধুরী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ১০, ২০২১, ০৩:২৯ পিএম

পরীমনির বিরুদ্ধে স্ক্যান্ডাল ছড়ানো হচ্ছে: গাফফার চৌধুরী

গ্রেপ্তারের পর থেকেই চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে একটার পর একটা স্ক্যান্ডাল ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন লন্ডন প্রবাসী প্রখ্যাত কলামিস্ট, সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।

চিত্রনায়িকা পরীমনি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানানো এক আবেদনে তিনি ওই অভিযোগ করেছেন। সোমবার (৯ আগস্ট) বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ আবেদনটি পাঠান তিনি।

আবেদনে লন্ডন প্রবাসী এই কলামিস্ট লিখেছেন.‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই আবেদন আমার একার আবেদন নয়। দেশে প্রশাসন, একটি বিত্তশালী গোষ্ঠী এবং একটি মিডিয়া গোষ্ঠী মিলে একটি ২৮ বছরের তরুণীকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে, সে সম্পর্কে সচেতন নাগরিক সমাজের আবেদন। পরীমণিকে গ্রেপ্তার করার জন্য দু-চারজন র‍্যাব কিংবা পুলিশের সদস্য গেলেই হতো, সেখানে যে যুদ্ধযাত্রা করা হয়েছিল, তাতে মনে হয়েছিল কোনো ভয়ঙ্কর ডাকাতকে গ্রেপ্তারের জন্য এই যুদ্ধযাত্রা। গ্রেপ্তারের পর থেকেই পরীমণির বিরুদ্ধে একটার পর একটা স্ক্যান্ডাল ছড়ানো হচ্ছে। বোঝাই যায়, কোনো একটি মহল থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই স্ক্যান্ডাল ছড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ বিচারের আগেই বিচার। চয়নিকা চৌধুরীর মতো একজন বিখ্যাত নাট্যকারকে অহেতুক রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে তার চরিত্রে কালিমা লেপনের চেষ্টা করা হয়েছে। এগুলো ক্ষমতার বাড়াবাড়ি। এগুলো চলতে দিলে দেশের নাগরিক স্বাধীনতা বিপন্ন হবে।

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী আরও লিখেছেন, ‘বোট ক্লাবের ঘটনার পরে আসামিরা যে সহজেই জামিন পেলেন, তার রহস্য কী? এই শক্তিশালী মহলটি প্রশাসনের একাংশকে বশ করে যে এই ঘটনাগুলো সাজিয়েছে, তা বুঝতে কি কষ্ট হওয়ার কথা? তারপর মিডিয়ার প্রচার। এই প্রচারগুলো যে সত্য নয়, তা সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিনের বিবৃতিতে জানা গেছে। সাড়ে তিন কোটি টাকার গাড়ি নিয়ে পরীমণির বিরুদ্ধে যে প্রচার চালানো হয়েছে, আরেফিন সাহেবের বিবৃতিতে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। পরীমণি চলচ্চিত্রের নায়িকা। তার নানা পুরুষের সঙ্গেই নানাবিধ সম্পর্ক থাকতে পারে। সেটা কি একটা অপরাধ?

আমার সবিনয় জিজ্ঞাসা, আদালতে বিচার হওয়ার আগে দেশের চলচ্চিত্রজগতের সম্ভাবনাময় এক তরুণীর জীবন যেভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হলো, তার দায়িত্ব কে নেবে? আদালতের বিচারে পরীমণি যদি দোষী সাব্যস্ত হন এবং শাস্তি পান, তাতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।

কিন্তু একজন তরুণীকে যেভাবে আটক করে হেনস্তা করা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা শুধু নারীসমাজের অপমান নয়, মানবতার অপমান। আমাদের নাগরিক স্বাধীনতার ওপর এটা একটি ভয়ঙ্কর থাবা।

আমি দেশের সচেতন বুদ্ধিজীবী শ্রেণির কাছে আবেদন করি, তারা পরীমণির ওপর এই হেনস্তার তীব্র প্রতিবাদ করুন। দয়া করে চুপ করে থাকবেন না। পরীমণির ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করুন। মিডিয়ার কাছে অনুরোধ, তারা যেন অত্যাচারিতের পক্ষে দাঁড়ায়। অত্যাচারী গোষ্ঠীর পক্ষে না যায়।’

 

Link copied!