আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে বীরদের অবদান অস্বীকার করে। ১৬ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে উদযাপিত সুবর্ণজয়ন্তীতে শেখ মুজিব ছাড়া আর কারও নাম নেওয়া হয়নি। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট রেজিস্টারি মাঠে সিলেট বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, “স্বাধীনতাযুদ্ধ কোনো একজন ব্যক্তি বা দল করেনি। এদেশের সর্বস্তরের মানুষ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। কিন্তু শহীদ জিয়াউর রহমান ও আতাউল গনি ওসমানীসহ অনেক বীরদের অবদান স্বীকার করে না আওয়ামী লীগ। ১৬ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে যে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়েছে সেখানে শেখ মুজিব ছাড়া আর কারও নাম নেওয়া হয়নি।”
জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সিলেট শত্রুমুক্ত করতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “জোর করে ক্ষমতায় থাকা এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস মুছে দিয়ে একটি ভ্রান্ত গল্প নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চায়। মূলত মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫০ বছরেও আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য বাসযোগ্য একটি ভূমি তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের স্বপ্ন ছিল একটি গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার।”
দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, “গুটিকয়েক মানুষ সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। দেশে আজ গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়েছে। যার প্রমাণস্বরূপ-জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসিয়ে কারাবাস করিয়ে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন মুমূর্ষু অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না।”
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, “নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। প্রয়োজনে ৭১ সালে যেভাবে দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাক হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দেশবাসী, ঠিক সেভাবে যুদ্ধ করে বর্তমান অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি সেই দিন আর বেশি দূরে নয়।”