মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগাড়ে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগের জন্য অনুমোদিত সংস্থার সংখ্যা ১০ টি থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এই মন্তব্য করেন তিনি।
বিদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগের জন্য বিদেশি কর্মচারী অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম (এসপিপিএ) ২০১৮ সাল থেকে স্থগিত আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া শ্রমিক নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় ১০টি এজেন্সিকে।
গত দুই বছর ধরেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এজেন্সির সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে কথা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত শ্রম নিয়োগকারী সংস্থার সংখ্যা ১০ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তবে এ অনুরোধের বিপরীতে মালয়েশিয়া সরকার দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ক্রমবর্ধমান অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে দা ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে। মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানানের শঙ্কা—এতগুলি সংস্থা শ্রমিক পাঠালে, বাংলাদেশি নাগরিকদের আগমন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মালয়েশিয়া ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ডে’ পরিণত হতে পারে। তবে এজেন্সির সংখ্যা ১০ টির বেশি করা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি বিশ্বাস করেন; তবে তা ২ হাজার করার বিপক্ষে তিনি।
আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিসভায় প্রয়োজনীয় আলোচনার পর প্রস্তাবিত এমওইউ সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এ সমঝোতা স্মারকের একটি চূড়ান্ত খসড়া মানবসম্পদ মন্ত্রী পেয়েছেন এবং তিনি তা মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করবেন বলেও জানানো হয়।