কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পেয়েছে। বিশ্বে এই প্রথমবার একটি সচল বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনেস্কো থেকে হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। পৃথিবীতে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানে ধারাবাহিকভাবে সাংস্কৃতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, রবিবার ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে এ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সভায় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী আজ ইউনেস্কো থেকে ঘোষণা করা হল।
ইউনেস্কোর ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল জানায়, বাংলার জন্য গর্বিত মুহূর্ত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেল। সংস্কৃতি এবং মেধায় নোবেলজয়ীয় যে অবদান রয়েছে, তাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হলো। চলুন, আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই সম্পদকে রক্ষণাবেক্ষণ করি।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের নিকট অবস্থিত একটি আশ্রম ও শিক্ষাকেন্দ্র শান্তিনিকেতন। ১৮৬৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিভৃতে ঈশ্বরচিন্তা ও ধর্মালোচনার উদ্দেশ্যে বোলপুর শহরের উত্তর-পশ্চিমাংশে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা কালক্রমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ নেয়। ১৯১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৯২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্বকবির উপস্থিতিতে বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল। ১৯৫১ সালে একে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করে ভারত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা শান্তিনিকেতন পুরো বিশ্বের কাছে পরিচিত।