মার্চ ২৩, ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বলেন, ‘এটি (মঙ্গল শোভাযাত্রা) যখন শুরু হয় তখন নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। আগে যে নাম পরিবর্তন হয়েছে, সেটা আবার হতে পারে। কালকের সভায় সেটা সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবার বাঙালিদের শোভাযাত্রা হবে না, সবার শোভাযাত্রা হবে।’
রোববার, ২৩ মার্চ সচিবালয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলা নববর্ষ উদযাপনে বাঙালির পাশাপাশি চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শোভাযাত্রা আয়োজনের উদ্যোগের কথা আগেই জানিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। এই আয়োজনকে ঘিরেই রোববার সভা করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
সভা শেষে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘সমাজ থেকে কোনো সংস্কৃতিকে বাদ দেওয়া মঙ্গলজনক নয়। এবারের শোভাযাত্রায় সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন দেখতে পাবেন। নতুন রং, গন্ধ, সুর পাবেন। কী নামে শোভাযাত্রা হবে কালকে আরেকটি সভা করে সিদ্ধান্ত হবে।’
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ষবরণের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এ শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ঐক্য ও অপশক্তির অবসান কামনা করে প্রথমবারের মতো এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে এর নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৯৬ সালে নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।
বাংলাদেশ সরকারের আবেদনে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর মানবতার অধরা বা অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায়।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘নাম পরিবর্তন হলেও ইউনেস্কোর স্বীকৃতির কোনো সমস্যা হবে না। ইউনেস্কো শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এবার পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করতে হবে এমন কোনো নির্দেশনা থাকবে না। তবে কতক্ষণ চলবে সেটা পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
উপদেষ্টা জানান, এবার চৈত্র সংক্রান্তিতে শিল্পকলায় রক কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৪ এপ্রিল সংসদ ভবনের সামনে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ড্রোন শো। এই আয়োজনে সহযোগিতা করবে চীনা দূতাবাস।