আমাদের ভাষায় ইংরেজির প্রভাব পড়ছে: সলিমুল্লাহ খান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ৮, ২০২৩, ০৮:২৭ এএম

আমাদের ভাষায় ইংরেজির প্রভাব পড়ছে: সলিমুল্লাহ খান

বাঙালির ভাষায় আবার ইংরেজির প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন লেখক, শিক্ষক, গবেষক ড. সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেন, “বাঙালির চিন্তা বুঝতে হলে আপনাকে ভূ-রাজনৈতিক বুঝতে হবে। বুঝতে হবে ভাষার বিবর্তন। একসময় আমাদের ভাষা ছিল সংস্কৃত। তারপর হলো ফারসি, তারপর হলো ইংরেজি, এরপর উর্দু, এরপর বাংলা। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো এখন আমাদের ভাষা আবার ইংরেজি হয়ে যাচ্ছে।”

ঢাকা লিট ফেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলা একাডেমির লনে ‘বাঙালির চিন্তার ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনায় এ কথা বলেছেন ড. সলিমুল্লাহ খান। এসময় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের লেখক, শিক্ষক তপধীর ভট্টাচার্য। আলোচনাটি সঞ্চালনা করেছেন হামীম কামরুল হক।

বাঙালির চিন্তার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমে কীভাবে বেঙ্গলি থেকে বাংলা হলো তা নিয়ে আলোকপাত করেন৷ তিনি বলেন, “নাথানিয়াল হ্যালহেদ তার বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের নাম দিয়েছিলেন অ্যা গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ। রাজা রামমোহন রায় পরবর্তীতে লিখেছেন "গৌড়িয় ব্যাকরণ"। গৌড়িয় ব্যাকরণে রাজা রামমোহন রায় বেঙ্গলি শব্দটি ব্যাবহার করেছেন।”

সলিমুল্লাহ খান বলেন, “এই যে বেঙ্গল থেকে বেঙ্গলি- এটাই আমাদের চিন্তার পরিবর্তনের উৎস।’ বাঙালির চিন্তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাংলা ভাষার বিবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাঙালির চিন্তা বুঝতে হলে আপনাকে ভূ-রাজনৈতিক বুঝতে হবে। বুঝতে হবে ভাষার বিবর্তন।”

সঞ্চালক কামরুল তপোধর ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞেস করেন, “আপনি বাঙালি জাতিকে কীভাবে দেখেন?” উত্তরে তিনি বলেন, “আমার কাছে বাঙালির ইতিহাসকে অনেক খণ্ডিত মনে হয়।”

“তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি” স্লোগানটি উচ্চারণ করে তপোধর ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের এই প্রশ্ন ও উত্তর সবসময় খুঁজে যেতে হয়। আত্নপরিচয়ের সমাধান করেই চিন্তার প্রকাশ করতে হয়। রাষ্ট্র ও জাতিকে অনেকেই এক মনে করেন।”

Link copied!