এপ্রিল ১, ২০২৩, ০৯:৫৫ এএম
বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুবই উদ্বিগ্ন। প্রতিটি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলেও জানায় হোয়াইট হাউস। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল আইনে সাংবাদিক গ্রেফতার ও মামলা দায়ের নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্তবর্তীকালীন মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এসব কথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই সহকারি প্রেসি সচিব ও মুখপাত্র বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংবাদপত্রের সদস্য ও গণতন্ত্রের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের বছরে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”
সম্প্রতি প্রথম আলোর সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রসঙ্গে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “সংবাদপত্রের কোনো সদস্যকে তাঁদের কাজ করার জন্য হুমকি দেওয়া, হয়রানি করা, শারীরিকভাবে আক্রমণ করা বা গ্রেপ্তার করা উচিত নয়।”
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই ব্রিফিংয়ে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করার অভিযোগে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকায় বিশিষ্টজনদের খোলা চিঠির বিষয়টি মুখপাত্রকে অবহিত করান। এর জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, পত্রিকায় খোলা চিঠির বিষয়ে তাঁরা বেশ অবগত আছেন। দারিদ্র্য বিমোচনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকাও তাঁরা জানেন। এর বেশি কিছু বলার নেই।
এদিকে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক সব তদন্ত বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। একই সঙ্গে সিপিজে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজ করতে দিতে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
অপরদিকে, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকল নাইনটিন। স্থানীয় সময় শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই, এটি খুব দুর্ভাগ্যজনক।