রবিবার (২৩ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদকাল। সোমবার দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিবেন মো. সাহাবুদ্দিন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নতুন রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করাবেন।
নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠানে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে, দুই মেয়াদে ১০ বছর ধরে বঙ্গভবনে থাকা বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে রাজসিক বিদায় জানানো হবে। আর এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রপতিকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানোর নজির সৃষ্টি হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদায় অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন।
বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় বিদায় অনুষ্ঠানের পর্ব শুরু হবে। প্রেসিডেন্টের গার্ড রেজিমেন্টের একটি সুজ্জিত দল বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল মাঠে গার্ড অব অনার দেবে আবদুল হামিদকে। গার্ড অব অনার দেওয়ার পর বিদায়ী রাষ্ট্রপতি পুষ্পসজ্জিত খোলা জিপে বক ফোয়ারা থেকে বঙ্গভবনের প্রধান ফটক পর্যন্ত যাবেন। সেখানে বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে সামরিক কায়দায়। বঙ্গভবনের প্রধান ফটকে তাকে দেওয়া হবে স্যালুট গার্ড।
বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা দুই দলে ভাগ হয়ে গাড়ির সামনে দড়ি ধরে দাঁড়াবেন। তারা দড়ি ধরে এগিয়ে গেলে পেছনে পেছনে যাবে গাড়ি। বঙ্গভবনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পিজিআর সদস্যরা এ সময় ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেবেন।
সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ব্যান্ড দল এবং অশ্বারোহী দল অংশ নেবে রাষ্ট্রপতি হামিদের বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতায়।
বঙ্গভবনের প্রধান ফটক থেকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের তত্ত্বাবধায়নে ভিভিআইপি গাড়িতে মোটর শোভাযাত্রা করে বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে নিকুঞ্জে তার বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রাম থেকে জাতীয় রাজনীতিতে উঠে আসা মো. আবদুল হামিদ প্রথম দফায় ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ২১ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত মো. জিল্লুর রহমান বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকার সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৭০ সালে ময়মনসিংহের একটি আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। সাতবার আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।