শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে আগুন লাগলে ওই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করার সময় বিস্ফোরণে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। অণলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিং বিডি ডট কমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাত ১০টার দিকে যখন আগুন লাগে তখন একটু দূরে দাঁড়িয়েই মোবাইলে ফেসবুক লাইভ করছিলেন এক তরুণ। নাম ওয়ালিউর রহমান। লাইভে দেখা যায়, কনটেইনারে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
এর এক-দেড় মিনিট পরেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা যায় লাইভে। বিস্ফোরণের পরে কিছু শব্দ শোনা গেলেও স্ক্রিন অন্ধকার হয়ে যায়। রাত ২টার দিকে ফেসবুক লাইভকারী তরুণ ওয়ালিউর রহমানের মরদেহ আসে চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে।
আবসার উদ্দিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী রাইজিংবিডিকে জানান, রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ ৩০ জনকে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। একজনকে আনা হয় মৃত অবস্থায়। তিনি লাইভ ভিডিওকারী ওয়ালিউর রহমান।
পার্কভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন আইসিইউতে আছেন। পাঁচ জনকে ওটির পর অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। এদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।