আগস্ট ৭, ২০২২, ১০:২২ এএম
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।রবিবার রাজধানীতে হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও সফররত চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই'র বৈঠকে ওই চুক্তিগুলো সই হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মেরিন সায়েন্স শিক্ষা বিষয়ক একটি চুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক একটি চুক্তি, সাংস্কৃতিক বিনিময়ের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। সই হওয়া অন্য চুক্তি কী বিষয়ে হয়েছে তা জানাননি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এবিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপর চুক্তিটির বিষয়ে লিখিতভাবে পরে জানানো হবে।
এর আগে রবিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বৈঠকে বসেন।
প্রসঙ্গত, দুই দিনের সফরে গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমানবন্দরের তাকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সফরের প্রথম কর্মসূচিতে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ওয়াং ই।
এদিকে, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর আজই তার ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেল চীনা এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকায় পৌঁছালে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী ড.মো. আব্দুর রাজ্জাক।
পরে ওয়াং ই রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার সঙ্গে ছিলেন। এরপর জাদুঘরের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন তিনি।েএর আগে, ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওয়াং ই রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ঢাকা সফরে এসেছিলেন। তবে ছয় বছর পর চীনা সরকারের কেউ দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকা আসলেন। ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সর্বশেষ ঢাকা সফর করেছেন।
তাইওয়ান ইস্যুতে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশের এ সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর আজই তার ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।