জুলাই ২৯, ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
ফরিদপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বলা হচ্ছে, তারা ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। তবে এই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচিত নন জেলার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’র নেতারা।আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, ফরিদপুর জেলার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’র দুই সমন্বয়ক কারাগারে। এ অবস্থায় অন্য কারও কর্মসূচি প্রত্যাহার ঘোষণার সুযোগ নেই।
সোমবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রেস ক্লাবে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুর’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
প্রেস ক্লাবের ওই কক্ষে তখন ফরিদপুরের ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিনসহ প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া প্রেস ক্লাবের বাইরে জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকেও দেখা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী পরিচয়দানকারী আরমান শিকদার। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি সরকার পূরণ করায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ফরিদপুরে’র যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল সেসব কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলো। এখন আমাদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।”
এ সময় অন্যদের মধ্যে ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয়দানকারী রিয়াদ মোল্লা ও রবিউল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর ডিবি পুলিশের ওসি আব্দুল মতিন দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ও একে কেন্দ্র করে যেন অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমরা সেখানে ছিলাম।”
ফরিদপুরের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’র নেতা আবরাব নাদীম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমাদের কোনও কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়নি। ফরিদপুরে আমাদের দুই সমন্বয়ক শাহ মো. আরাফাত ও জনি বিশ্বাস এখন কারাগারে আছেন। এ ছাড়া আমাদের নয় দফা দাবি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন প্রত্যাহারের সুযোগ নেই।