বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় গত শনিবার ও রবিবার নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে যাওয়া দুই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছিলো।
বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় দুদিন পর কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌ রুটে নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে বার আউলিয়া নামের একটি জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এই জাহাজে করে দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে তিন দিন ধরে আটকে পড়া পর্যটকেরা বিকেলে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে গত বুধবার প্রায় ৬ মাস পর ৫১৭ পর্যটক নিয়ে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে বার আউলিয়া নামের একটি জাহাজ চলাচল শুরু করেছিল।
বার আউলিয়া জাহাজের পরিচালক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ সকালে ৩৮৮ জন পর্যটক নিয়ে তাঁদের জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা করেছে।
সব ঠিক থাকলে বিকেলে আটকে পড়া পর্যটকসহ জাহাজটি আবার টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে ফিরবে। বুধবার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে গেছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় জাহাজ চলাচল শুরু করা হয়েছে। এতে আটকে পড়া পর্যটকেরা সেন্ট মার্টিন ছাড়তে পারবেন।
ইউএনও বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবসকে সামনে রেখে সেন্ট মার্টিনে পর্যটক যাতায়াতের জন্য বার আউলিয়া নামের একটি জাহাজ এক সপ্তাহের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর জাহাজ চলাচল নির্ভর করবে।
এদিকে গত শুক্রবার টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার পথে একটি স্পিডবোট নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় উল্টে যায়। এতে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ১৭ পর্যটকসহ ২৩ জনকে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা উদ্ধার করেছে।