সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় ডোনা সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে দুদিন ধরে পড়ে আছে দুই বাংলাদেশির মরদেহ। বুধবার সকাল ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তারা। এ ঘটনার দুদিন পরও আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাদের মরদেহ পড়ে আছে সীমান্তের ১৩৩১ নম্বর মেইন পিলারের ওপারে একটি নালার পাশে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজণা বিরাজ করছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠক থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় এখন পর্যন্ত মরদেহ দুটি উদ্ধার করা যায়নি। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি বিজিবি।
খবরে জানা যাচ্ছে, নিহতরা হলেন, কানাইঘাট লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের এরালিগুল গ্রামের আরিফ উদ্দিন (২২) ও আসকর উদ্দিন (২৮)। স্থানীয়রা তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, 'কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো পাহাড়ি এবং সেখানে চাষাবাদ বা অন্যান্য সুযোগ কম থাকায় অনেকেই সীমান্তের ওপারে খাসিয়াপল্লীর সুপারি চাষের ওপর নির্ভরশীল। কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সেখানে কাজ করেন, আবার কেউ কেউ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। এই দুজনও কোনো প্রয়োজনে সীমান্ত পার হয়েছিলেন, তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।'
বুধবার স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানিয়েছিলেন, বিএসএফের গুলিতে এই ২ জন নিহত হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
দুদিনেও মরদেহ উদ্ধার না হওয়ায় সীমান্তের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। বৃহস্পতিবার তারা স্থানীয় বাজারে ২ দফা বিক্ষোভ সমাবেশও করেন।
লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়াজ উদ্দিন বলেন, এভাবে দুটি মরদেহ পড়ে থাকার দৃশ্য অমানবিক, আর তাই স্থানীয়রা খুবই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। পুলিশসহ দায়িত্বশীলরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন।