ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি গেস্ট হাউসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ওই বাংলাদেশির নাম সামিমাতুল আরস। তার আনুমানিক বয়স ৬০ বছর। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক।
ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, শনিবার ভোররাতে বিধ্বংসী আগুন লাগে কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি গেস্ট হাউসে। গেস্ট হাউসের দোতলা থেকে দ্রুত ওই আগুন ছড়িয়ে যায় আশেপাশে।
ওই গেস্ট হাউসের এক কর্মী জানান, রিসেপশনে এই আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে যায় অন্য ঘরগুলিতে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। একে একে অন্তত দশ থেকে বারোটি ঘর পুড়ে যায়। ওই ঘরগুলিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তাঁদের সবাইকে সরিয়ে আনা হয়। উদ্ধার করা হয় ১৬ জনকে। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। কিন্তু এক বৃদ্ধাকে প্রথমে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ৬০ বছরের ওই বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তার নাম সামিমাতুল আরস।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৫ বছঠর বয়সী মইনূল হক নামে আরও এক বাংলাদেশি নাগরিককে অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও মেহাতাব আলম নামে মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
হোটেলটির এক কর্মী বলেন, ‘প্রথমে রিসিপশনে (অভ্যর্থনা কক্ষ) আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য কক্ষে। এসময় কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। আগুনে ১০ থেকে ১২টি কক্ষে পুড়ে গেছে।’