এপ্রিল ৭, ২০২৩, ০৫:৩৭ পিএম
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা নিয়ে বিএনপি উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে অপরাজনীতি করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্মরণকালের এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যার যার সাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে। অথচ এমন ভয়াবহ ঘটনাও বিএনপির অনূভুতিকে নাড়া দিতে পারেনি। ক্ষমতার মোহে অন্ধ বিএনপির নেতাদের অনুভূতি ভোঁতা হয়ে গেছে।’
এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উসকানিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্মরণকালের এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যার যার সাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে। অথচ এমন ভয়াবহ ঘটনাও বিএনপির অনূভুতিকে নাড়া দিতে পারেনি। ক্ষমতার মোহে অন্ধ বিএনপি নেতৃবৃন্দের অনূভুতি ভোতা হয়ে গেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং অবিলম্বে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পেছনে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অতীতে বিএনপি তাদের তথাকথিত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন সময় জনস্বার্থ বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাস ও নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে সাধারণ নিরীহ ও শ্রমজীবী মানুষকে হত্যা করেছে। অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতি বিএনপির এক ধরনের দুর্বলতা রয়েছে। তা থেকে বিএনপি নাশকতামুলক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। আগুন লাগার খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পরে আগুনের ভয়াবহতা দেখে ঢাকার আশপাশে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর ফায়ার ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিটও সেখানে যোগ দেয়। সব মিলিয়ে ৪৮টি ইউনিটের সাড়ে ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এর মধ্যে চার হাজারের বেশি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন পুরোপুরি নিভে যায় শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টায়।