কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে তিন ভাই-বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হারবাং ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবান ঘাটা গ্রামে জাকের হোসেন মিস্ত্রির ঘরের আগুন লাগে। মুহূর্তেই সেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
আগুনের সময় বয়স্করা বের হয়ে প্রাণে বাঁচতে পারলেও অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় জাকের হোসেনের দুই শিশু কন্যা ও এক শিশু পুত্র। এরা হল: মো. জিহাদ (১১), তার দুই ছোট বোন ফৌজিয়া জন্নাত মিম (৯) ও আফিয়া জন্নাত মিতু (৭)।
স্থানীয় লোকজন বলেন, সোমবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর জাকের হোসেনের স্ত্রী কাজল আকতার তার ১৫ মাস বয়সী শিশুসন্তানকে নিয়ে বাড়ির একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। তাদের অন্য তিন সন্তান আরেক কক্ষে ঘুমায়। রাতে জাকের বাড়িতে ছিলেন না। রাত পৌনে ১২টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ঘরে আগুন লাগে। এ সময় ঘুম থেকে উঠে ১৫ মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে বাইরে বের হয়ে আসেন কাজল আকতার। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর অন্য কক্ষে তিন শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। তিন ভাইবোন আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমদ বাবর জানান, রাতে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সাবান ঘাটা গ্রামের জাকের হোসেন মিস্ত্রির ঘরে আগুন লাগে। মুহুর্তেই আগুন ঘরের চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে বয়স্করা দ্রুত ঘর থেকে বের হতে পারলেও ঘুমন্ত শিশুগুলোকে বের করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলেই আগুনে পুড়ে তিন সহোদর মারা যায়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মর্মান্তিক ঘটনাটি আমাকে জানানোর পরপর আমি সেখানে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অগ্নিনির্বাপক গাড়ি নিয়ে পৌঁছানোর আগেই বসতবাড়িটি পুড়ে যায় এবং তিন শিশুর মৃত্যু হয়। কীভাবে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি।
চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন অফিসার সাইফুল হাসান বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমাদের টিম সেখানে পাঠাই। কিন্তু ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়াতে আমাদের গাড়ি সেখানে পৌঁছেনি। তবে আমাদের দমকল বাহিনী ও স্থানীয়রা প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।