করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ (লকডাউন) আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে এর সঙ্গে নতুন করে কোনো শর্ত যোগ হচ্ছে না। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকালে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমনের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্তর্জাতিক বিশেষ ফ্লাইট চলাচল, ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ পূর্বের সকল বিধিনিষেধ আরোপের সময় সীমা আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত সোমবার (১২ এপ্রিল) সকল পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন চলাচলে বিধিনিষেধ এনে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। করোনার সংক্রমন না কমায় সে সিদ্ধান্তই অব্যাহত রাখা হলো।
১৯ এপ্রিলই আসে লকডাউনের সিদ্ধান্ত
লকডাউনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে সোমবার (১৯ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, কমিটির সুপারিশ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট চিন্তা করেই ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখা হচ্ছে। তবে আগের বিধিনিষেধে যে শর্ত ছিল তাই বহাল থাকবে।
তিনি বলেন, চলমান সিদ্ধান্ত আরও সাতদিন রাখা হলে হয়তো সংক্রমণ কমতে পারে বলে ধারণা করছি। অন্যদিকে সামনে ঈদ আসছে ব্যবসায়ীদের বিষয়টাও চিন্তা করতে হবে। তিনি বলেন, সংক্রমণ কমানোর জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার অভ্যাস মানুষের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। যতদিন এর কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে ততদিন প্রত্যেক ব্যক্তিকে ঘরের বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এদিনই লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে বলে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেছেন, ঈদের আগেই লকডাউন শিথিল করার চিন্তা রয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার প্রথমে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়। পরে ৯ দিনের জন্য আরও ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপরেও সংক্রমণ বাড়তি থাকায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে সব ধরনের প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন বন্ধ রেখে, শর্ত সাপেক্ষে শিল্প কারখানা ও হাট-বাজার খোলা রেখে এক সপ্তাহের লকডাউন জারি করা হয়।