লকডাউনে ২২ দিন বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চালু হলেও আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় বহু যাত্রী যানবাহন পরিবর্তন করে ভেঙে ভেঙে দূরবর্তী গন্তব্যে যাতায়াত করেছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যেসব শর্তে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা পুরোপুরি মানা হয়নি। অর্ধেক আসন খালি রেখে বাস চললেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছিল না। তবে যাত্রী, চালকের মুখে মাস্ক আগের চেয়ে বেড়েছে। রয়েছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ।
গাবতলীতে দেখা গেছে, পুলিশ ঢাকার বাইরের বাস রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেয়নি। ঢাকার বাসগুলোকেও ওই সব রুটে যেতে দেয়নি। গাবতলী সেতু থেকে যানবাহনগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই দৃশ্য চোখে পড়েছে রাজধানীর প্রান্তের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে। তবে ব্যক্তিগত গাড়িতে নির্বিঘ্নেই যাত্রীরা দূর-দূরান্তে যাতায়াত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই সব যানবাহনকে কোনো বাধা দেয়নি।
ঈদযাত্রার চেয়েও যাত্রী বেশি
ঈদের আগে যে যাত্রী থাকে তারচেয়ে বেশি যাত্রী এখন ঘরমুখী হচ্ছে বলে জানান মাইক্রোবাসচালক হেদায়েত উদ্দিন। তিনি বলেন, যাত্রীরা লকডাউনে কোন যানবাহন না পেয়ে আমাদের মাইক্রো, প্রাইভেটকারে যাচ্ছে। অনেকে আবার দফায় দফায় হেটেও যাচ্ছে। তবে ফরিদপুর,বরিশালগামী যাত্রীর সংখ্যা বেশি।
পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া মুজিবুর রহমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমি তিনঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছি। অন্য এলাকার যাত্রী প্রাইভেট কারে করে যাচ্ছে। ভোগান্তির মধ্যেই গুটি কয়েক জেলার গাড়ি ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষিতে আবার ঢাকার বাসায় ফিরে যাচ্ছি।
গণপরিবহনের শর্তসমূহ
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গণপরিবহন চালুতে শর্ত দিয়েছে, ট্রিপের আগে ও পরে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। থাকতে হবে স্যানিটাইজার। অধিকাংশ বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেখা যায়নি। সরকারি শর্তানুযায়ী, গণপরিবহনগুলো জেলার মধ্যে চলাচল করলেও অন্য জেলায় যেতে পারবে না। ফলে দূরপাল্লার যাত্রীরা এক জেলার সীমান্তে গিয়ে ওই যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে আরেক জেলার যানবাহনে উঠেছেন।